আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় জোড়া বিস্ফোরণে অন্তত দু’জন নিহত ও আরও দুই ডজনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, রাজধানীর সংসদ ভবন ও পুলিশ স্টেশনের কাছে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সংসদের কাছে বিস্ফোরণের পর আইনপ্রণেতারা প্রাণ বাঁচাতে লুকিয়ে পড়েন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার অনুসারী সোমালিয়ার আল-শাবাব গোষ্ঠীর সদস্যরা এর আগে উগান্ডায় বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছিল। গত মাসে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারী এডিএফ নামের আরেকটি গোষ্ঠী প্রথমবারের মতো উগান্ডায় হামলা চালানোর দায় স্বীকার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, রাজধানী কাম্পালার সংসদ ভবনের কাছে একটি এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ স্টেশনের কাছে আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে দুই এলাকার আশপাশ সাদা ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। এ সময় অনেক মানুষকে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে পালাতে দেখা যায়।
সংসদ ভবনের কাছের নিরাপত্তারক্ষী ২৮ বছর বয়সী পিটার অলুপত রয়টার্সকে বলেছেন, একটি বড় বন্দুক থেকে বিশাল বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে এলো। মাটি কেঁপে উঠলো, আমার কান প্রায় বধির হয়ে গেল। আমি একটি গাড়িতে আগুন ধরে যেতে দেখেছি। প্রত্যেকেই দৌড়ে পালাচ্ছিল এবং আতঙ্কিত ছিল। একজন মোটরসাইকেল চালককে দেখেছি; যার মাথা ফেটে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে।
উগান্ডার স্থানীয় টেলিভিশন এনটিভি উগান্ডার এক প্রতিবেদক বলেছেন, তিনি সড়কে দু’জনের মরদেহ দেখেছেন
কাম্পালার মুলাগো হাসপাতালে আহত অন্তত ২৪ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে এক টুইটে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এমানুয়েল আইনিবুনা।