নিজস্ব প্রতিবেদক,
করোনা মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পুস্তক ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি জানানো হয়। তাদের দাবির মধ্যে আরও রয়েছে- প্রায় ২৬ হাজার পুস্তক ব্যবসায়ী পরিবারের জন্য এককালীন ১০০ কোটি টাকা অনুদান ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের লাইব্রেরিকে সমৃদ্ধ করতে একাডেমিক ও সৃজনশীল বই ক্রয়ের জন্য ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ প্রদান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন ছোটন বলেন, পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতারা আজ চরম দুর্যোগকাল অতিক্রম করছে। প্রায় দেড় বছর দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বই বিক্রি প্রায় বন্ধ। প্রায় ২৬ হাজার বইয়ের দোকান বন্ধ থাকায় বহু প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারী আজ নিঃস্ব। পরিবার পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। অথচ আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করলাম ইতোপূর্বে সরকারের একাধিক প্রণোদনা প্যাকেজ ও অনুদানে এই খাতকে বিবেচনায় না রেখে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৬ মাসে বাংলাদেশের একাডেমিক এবং সৃজনশীল প্রকাশনা ও বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার বিক্রি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান দোকান ভাড়া, কর্মচারী বেতন ও পারিবারিক ব্যয় নির্বাহ করতে গিয়ে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব বা অন্যান্য মাধ্যম থেকে ঋণ নিয়ে ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। ২০২১ সালের বই মেলায় ব্যবসায়ীরা ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বইমেলা শেষে প্রকাশক ও বিক্রেতারা স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। মেলায় লাভ তো দূরে থাকুক, কোনো প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের স্টল নির্মাণ খরচের সমপরিমাণ বিক্রিও হয়নি। বইমেলায় অনুৎপাদনশীল বিনিয়োগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ সহযোগিতা এবং সরকারিভাবে ১০০ কোটি টাকার বই ক্রয়ের বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ-সভাপতি মো. কায়সার-ই-আলম প্রধান, সহ-সভাপতি শ্যামল পাল, প্রকৌশলী মেহেদী হাসান, মাজহারুল ইসলাম, পরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান সরকার জামাল, কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল প্রমুখ।
বিএসডি/এমএম