নিজস্ব প্রতিবেদক:
মনোয়ারা বেগম (৬৫) চার সন্তানের জননী। বড় মেয়ে নাজমা বেগমের বাড়ি দুই ছেলে, এক মেয়ে, ছেলের বউ, মেয়ের জামাই আর নাতি নাতনিদের নিয়ে যাচ্ছিলেন। সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান -১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে তার মেয়ের বাড়ি যাওয়া শেষ যাত্রা হলো। দুই ছেলে, মেয়ে আর মেয়ের জামাইকে পাওয়া গেলেও তিনিসহ ছেলের বউ, দুই নাতি ও এক নাতির খোঁজ নেই।
স্বজনরা সুগন্ধা নদী এবং বরিশাল ও ঢাকার হাসপাতালে হন্যি হয়ে খুঁজছেন তাদের। কিন্তু তাদের খোঁজ মেলেনি।
মনোয়ারা বেগমের স্বজন জাহিদ হাসান শুক্রবার রাত ১১টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজছেন। তিনি জানান, মনোয়ারা বেগম দুই ছেলে নিয়ে সবুজবাগ থানার মাদারটেক এলাকায় থাকতেন। ছেলে কালু সবজি বিক্রেতা, রবিন প্রতিবন্ধী। মেয়ে পুতুল ও জামাই রাসেল মাদারটেকে তাদের বাসায় থাকতেন। বৃহস্পতিবার ছেলে কালু ও রবিন, মেয়ে পুতুল, জামাই রাসেল, ছেলের বৌ রুমা বেগম, দুই নাতি জীবন (১২), ইমন (৯) এবং নাতনী অবনীকে (৭) নিয়ে বড় মেয়ে নাজমা বেগমের বাড়ি যাচ্ছিলেন। রাতে লঞ্চে আগুন লাগলে রবিন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে পাড়ে উঠেন। কালু, পুতুল ও রাসেলকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
কিন্তু মনোয়ারা বেগমসহ বাকিদের খোঁজ নেই। বরগুনায় স্বজনরা নদী হাসপাতালে খুঁজে তাদের পায়নি।
জাহিদ জানান, অনেকের কাছে শুনেছিলাম ঢাকায় অনেককে আনা হয়েছে। তাদের খুঁজতে ঢাকা মেডিকেল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছি। কিন্তু কাউকে খুঁজে পাইনি।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন জানান রাত ১১টা পর্যন্ত ১৪ জনকে এখানে ভর্তি করা হয়েছে। সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিএসডি/ এলএল