নিজস্ব প্রতিনিধি:
আজ বিসিএসসহ ১৩ প্রতিষ্ঠানের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। তারা বলছেন, একই সময়ে একাধিক পরীক্ষা পড়েছে। এর ফলে তাদের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা বাধ্য হয়ে বাদ দিতে হচ্ছে। কেন্দ্রগুলো বিভিন্ন যায়গায় হওয়ায় ঢাকার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ছুটতে হচ্ছে চাকরিপ্রত্যাশীদের।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ছাড়াও একাধিক পরীক্ষায় অংশ নিতে বিভিন্ন কলেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের ভিড় দেখা যায়। বিসিএসসহ ৯টি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে সকালে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর পরীক্ষা বিকেলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে বিসিএস প্রিলিমিনারি দিয়ে চাকরিপ্রত্যাশী কাজী আশিক বলেন, টাকা খরচ করে আবেদন করে সময়সূচি মিলে যাওয়ার কারণে বিকেলের দুটি পরীক্ষা দিতে পারছি না। সকালে বাড্ডা থেকে মিরপুর এসে বিসিএস প্রিলি পরীক্ষা দিয়ে আজিমপুরের উদ্দেশ্যে ছুটতে হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে এ ধরনের প্রহসন বন্ধ করা দরকার। সারাটা দিন বাসজার্নি করে পরীক্ষা দেওয়া মুশকিল, এটা বোঝা উচিত।
নিয়ামুল নামে আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, করোনার কারণে প্রায় দুই বছর কোনো পরীক্ষা হয়নি। এখন আবার পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এটা ভালো দিক। তবে একদিনে একাধিক পরীক্ষা নেওয়ায় বেকাররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি গত এক মাসে সাত থেকে আটটির মতো পরীক্ষা দিতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে যেহেতু স্কুল-কলেজগুলো সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে ক্লাস কার্যক্রম চালাচ্ছে- সেহেতু শুক্রবার, শনিবার স্কুল ছুটির পরে দুপুরে অথবা বিকেলে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। কোনোভাবেই একদিনে দুটোর বেশি পরীক্ষা নেওয়া উচিত না।
মিরপুর ও বাড্ডার একাধিক কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, চাকরিপ্রতাশীর পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের ভিড়। কেন্দ্রের বাইরে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব ছিল উপেক্ষিত। পরীক্ষার্থীরা বলেছেন, পরীক্ষার হলে স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপাদান ছিল। সামাজিক দূরত্ব মেনে ও আসন ফাঁকা রেখে তারা পরীক্ষা দিয়েছেন।
বিসিএস ৪৩তম পরীক্ষা যুদ্ধে শুক্রবার অংশ নিয়েছেন ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০ জন।
এ বিএসডি / আইকে