নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়নসহ ১১ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ৫৪১ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশীদ, তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য নাসিমা বেগম প্রমুখ।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫০ কোটি ৩ লাখ টাকা। ৪৩ জেলার সদর উপজেলাসহ মোট ৩টি করে উপজেলা এবং রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা অর্থাৎ ৪৪টি জেলায় মোট ১৩০টি উপজেলায় তথ্যপ্রযুক্তিতে নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চারটি ক্যাটাগরিতে মোট ২৫ হাজার ১২৫ জন নারীকে ৫ মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে এক মাসব্যাপী মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম আয়োজন করা হবে।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ২টি ও ৪৪টি জেলায় একটি করে সর্বমোট ৪৬টি সেমিনার আয়োজন ও প্রচার করা হবে।প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫০ কোটি ৩ লাখ টাকা। দুগ্ধ ঘাটতি উপজেলায় দুগ্ধ সমবায়ের কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। কালীগঙ্গা নদীর ভাঙন হতে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া, ঘিওর, মানিকগঞ্জ সদর এবং সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রক্ষাকল্পে নদীতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৮৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া হতে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মেশিনারিজ সরবরাহ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। ভারতের সঙ্গে রেলসংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে চিলাহাটি এবং চিলাহাটি বর্ডারের মধ্যে ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৬০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
জেলা মহাসড়কগুলো যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা। নবীনগর-শিবপুর-রাঁধিকা আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা। পানগুছি নদীর ভাঙন হতে বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলা সদর ও সংলগ্ন এলাকা সংরক্ষণ এবং বিশখালী নদী পুনঃখনন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
বিএসডি/ এমআর