নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারা দেশে একসঙ্গে ১০০ সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এসব সেতুর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
একশ সেতুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেতু চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫টি। সবচেয়ে কম কুমিল্লায় একটি সেতু।
দৈর্ঘ্যের বিচারে সবচেয়ে বড় সেতু সিলেটের সুনামগঞ্জের রানীগঞ্জ কুশিয়ারা সেতু। এই সেতুর দৈর্ঘ্য ৭০২.৩২ মিটার। সবচেয়ে ছোট চার সেতু খাগড়াছড়িতে। সেতুগুলো হলো তবলছড়ি সেতু, তাইন্দং সেতু, কৃষি গবেষণা সেতু ও হাতিমারাছড়া সেতু। প্রতিটি সেতুর দৈর্ঘ্য ১৬.৫৯ মিটার করে।
১০০ সেতুর তালিকার সারসংক্ষেপ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগের দুই সেতুর মধ্যে একটির দৈর্ঘ্য ১০৩.৪৩ মিটার, আরেকটির দৈর্ঘ্য ৮৫.১৫ মিটার। এই দুই সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৫৬ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা। ময়মনসিংহের ছয় সেতুর দৈর্ঘ্য ৪৯৪.১১ মিটার। এতে ব্যয় হয়েছে ৭৭ কোটি ৮৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা। চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৫টি সেতুর মোট দৈর্ঘ্য এক হাজার ৯০৭.৬১ মিটার। সর্বনিম্ন দৈর্ঘ্যের চারটি সেতু চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে অবস্থিত। এসব সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ২৩৮ কোটি ২৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। কুমিল্লায় একটি সেতু তৈরিতেই খরচ হয়েছে ১১ কোটি ৯৫ হাজার টাকা।
সিলেটের ১৭টি সেতুর মোট দৈর্ঘ্য এক হাজার ৫৮৭.১৮ মিটার। সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্যের সেতুটি সিলেটের সুনামগঞ্জে। এই ১৭ সেতুর নির্মাণ ব্যয় ২৯০ কোটি ৭০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। গোপালগঞ্জে ২১৮.৫৭ মিটার দৈর্ঘ্যের পাঁচ সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩২ কোটি ৫১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। বরিশালে ১৪ সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৫৫৮.৮০ মিটার। এতে খরচ করতে হয়েছে ৯৬ কোটি ৬৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রাজশাহীর পাঁচ সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ১৭৬.৯০ মিটার। এসব সেতু তৈরিতে খরচ হয়েছে ২৮ কোটি ৪৮ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। আর রংপুরের ৩০১.৬৪ মিটার দৈর্ঘ্যের মোট পাঁচ সেতু তৈরিরে খরচ হয়েছে ৪৭ কোটি ২৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
এই ১০০ সেতুর মধ্য সীমান্ত ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকাও রয়েছে। বেশির ভাগ সেতুই স্থানীয় এলাকার নামে নামকরণ করা হয়েছে। এসব সেতু এক প্রকল্পের অধীনে নির্মাণ করা হয়নি। বেশির ভাগ সেতুর দৈর্ঘ্য ছোট হওয়ায় তাতে মাত্র একটি স্প্যান বসেছে। এক স্প্যানের সেতুর সংখ্যা ৬৯টি। সবচেয়ে বড় রানীগঞ্জ কুশিয়ারা সেতুতে ১৫টি স্প্যান রয়েছে।