নিজস্ব প্রতিবেদক
দিনভর বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন করেছে দ্যা ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব এপেক্স ক্লাবস অব বাংলাদেশ।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে প্রভাত ফেরি নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এরপর সকাল ১০টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনের পল্টন টাওয়ারস্থ ইআরএফ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
এপেক্স বাংলাদেশের এনওয়াইসিডি এপে. এবিএম আজরাফ টিপুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, এপেক্স বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট এপে. এম সায়েম টিপু।
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে ছিলেন, এপেক্স বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এ এস এম রকিবুল হাসান (স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত)।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, এপেক্স বাংলাদেশের ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট এপে. আবু নঈম মো. মাকসুদুর রহমান, সদ্য অতীত জাতীয় সভাপতি এপে. শামসুন্নাহার আজিজ লিনা, এপেক্স বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও অতীত জাতীয় সভাপতি এপে. এ ডি ববি, অতীত জাতীয় সভাপতি এপে. আব্দুর রউফ দিলিপ, অতীত জাতীয় সভাপতি এপে. আসলাম হোসেন, অতীত জাতীয় সভাপতি এপে. আব্দুল মতিন শিকদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল দেশীয় পোশাকের শীর্ষ ব্রান্ড টুয়েলভথ।
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এ এস এম রকিবুল হাসান বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারের মতো ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার বীজ বপন হয়। তাদের নিয়ে আমরা গর্বিত। প্রতি বছর দেশসহ সারা বিশ্বে দিবসটি পালন করা হয়। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মহান একুশে ফেব্রুয়ারির আদর্শে উজ্জীবিত করতে হবে। কেন না দেশকে সুন্দরভাবে গড়ার কারিগর হবে আমাদের সন্তানেরা। তাদেরকে ভাষা দিবসের প্রকৃত মাহাত্ম্য বুঝাতে হবে।
এপেক্স বাংলাদেশের সদ্য বিদায়ী জাতীয় সভাপতি শামসুন্নাহার আজিজ লিনা বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের কাছে গর্বের। সারা বিশ্বে যেন আমাদের মাতৃভাষাকে ছড়িয়ে দিতে পারি। এই ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সভাপতি এম সায়েম টিপু বলেন, এপেক্স থেকে কিছু নির্বাচিত শিশুর যাবতীয় শিক্ষা ব্যয় বহন করা হবে। এপেক্সের পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
আলোচনা সভা শেষে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এর উদ্বোধন করেন এস এম রকিবুল হাসান। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির ললিতকলা কেন্দ্রের শিক্ষক সুমন রহমান ও সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের ললিতকলা কেন্দ্রের ইনচার্জ ড. অনুপম কুমার পাল।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ক-গ্ৰুপে তাসফিয়া তাসনিম মালিয়া – প্রথম, আফরা আঞ্জুম মাওয়া -দ্বিতীয় এবং অভিরূপ হাওলাদার – তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। খ-গ্রুপ থেকে যথাক্রমে শ্রীজান দত্ত রনক -প্রথম, ওয়ালিয়া ফাইরোজ – দ্বিতীয় এবং অনিন্দিয়া ঘোষ – তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।