ক্রীড়া ডেস্ক:
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ্বকাপ মিশনে হোঁচট খেয়েছে টাইগাররা। এ নিয়ে স্কটিশদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দু’বারের দেখায় প্রতিবারই হার দেখল বাংলাদেশ। মাত্র ছয় রানের ব্যবধানে হেরে যায় টাইগাররা।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। এরপর ১৪০ রানেই স্কটল্যান্ডকে আটকে ফেলে টাইগার বোলাররা। জবাবে মাত্র ১৩৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের এই হারের পর ভারতীয় গণমাধ্যম ‘ওয়ান ইন্ডিয়া’ এক প্রতিবেদনে বলেছে, “স্কটল্যান্ডের জয় কোনও অঘটন নয়, বরং ওমানে বেরিয়ে পড়ল মাহমুদুল্লাহর দলের আসল চেহারা! বাঘেরা যেন বিড়াল!”
‘ওয়ান ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদনটি নিচে তুলে ধরা হল:-
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় সারির দলকে দেশের মাটিতে ঘূর্ণি উইকেটে পরাস্ত করে মিছে আত্মবিশ্বাসে আচ্ছন্ন ছিল বাংলাদেশ। ওমানেই বেরিয়ে পড়ল মাহমুদুল্লাহর দলের আসল চেহারা! বাঘেরা যেন বিড়াল! প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরেছিল। রবিবার টি ২০ বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশকে ৬ রানে হারিয়ে ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নিল স্কটল্যান্ড। মঙ্গলবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ওমান।
প্রস্তুতি ম্যাচে নামিবিয়া ও নেদারল্যান্ডসকে হারানোর পর টি২০ বিশ্বকাপ অভিযানও স্কটল্যান্ড শুরু করল জয় দিয়েই। দূরন্ত কামব্যাকের মাধ্যমে। বাংলাদেশ চারটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে হারালেও একমাত্র টি২০ আন্তর্জাতিকে হেরে গিয়েছিল। ২০১২ সালে হেগে সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে স্কটল্যান্ড হারিয়েছিল ৩৪ রানে। রবিবার দ্বিতীয় সাক্ষাতে স্কটল্যান্ড ফের চূর্ণ করল বাংলাদেশকে।
টি-২০ বিশ্বকাপে রবিবারের ম্যাচটি নিয়ে ২৬তম ম্যাচ খেলল বাংলাদেশ। জয় মাত্র ৫টিতে। টস জিতে স্কটিশদের ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। ১১.৩ ওভারে ৫৩ রানের মাথায় স্কটল্যান্ডের ষষ্ঠ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে কাইল কোয়েটজারের দল ২০ ওভারে তোলে ৯ উইকেটে ১৪০ রান। ক্রিস গ্রেভস ২৮ বলে ৪৫ ও মার্ক ওয়াট ১৭ বলে ২২ রান করেন। মেহেদি হাসান তিনটি এবং সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান ২ উইকেট পান। তাসকিন আহমেদ ও মুহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ঝুলিতে যায় একটি করে উইকেট।
১৪১ রান তাড়া করতে নেমে স্কটল্যান্ডের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে কখনও ম্যাচ জেতার মতো পরিস্থিতিই তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৩.৩ ওভারের মধ্যেই ফিরে গিয়েছেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। দুজনেই ৫ রান করেন। সাকিব আল হাসান ২৮ বলে ২০, মুশফিকুর রহিম ৩৬ বলে ৩৮ ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ২২ বলে ২৩ রান করেন। উইকেটকিপার নুরুল হাসান ২ রানের বেশি করতে পারেননি।
আফিফ হোসেন ১২ বলে ১৮ রান করেন, কিন্তু তিনিও জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে পারেননি। মেহেদি হাসান ৫ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ তিন বলে বাংলাদেশের দরকার ছিল ১৮। হাসান একটি ছক্কা হাঁকালেও তা ৬ রানে লজ্জার পরাজয় এড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। ব্র্যাড হুইল ৪ ওভারে ২৪ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন। ক্রিস গ্রিভস ৩ ওভারে ১৯ রানে ২ উইকেট নেন। মার্ক ওয়াট এই ম্যাচে আফিফের উইকেটটি তুলে নিয়ে টি-২০ আন্তর্জাতিকে ৫০তম উইকেটটি পেলেন। ম্যাচের সেরা গ্রিভস। বোলারদের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করলেও ইনিংসের মাঝে বড় রান তুলতে না পারাকেই ব্যর্থতার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন মাহমুদুল্লাহ।
সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া