ক্রীড়া ডেস্ক:
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত ওমান। আল আমিরাত স্টেডিয়ামে ১০ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে তারা।
পর্দা উঠল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। পাঁচ বছর আগে প্রথমবার এই ইভেন্টে নাম লেখানো ওমান মুখোমুখি হচ্ছে নবাগত পাপুয়া নিউ গিনির। টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে দারুণ শুরু করে তারা। তবে প্রতিরোধ গড়েছে পাপুয়া নিউ গিনি। শূন্য রানে ২ উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে দলটি। ১০ ওভারে তাদের স্কোর ২ উইকেটে ৭০ রান।
নারীদের ব্যান্ড দল ঢাক-ঢোল বাজিয়ে মাঠে ঢুকেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দাও উঠল সপ্তম বিশ্বকাপের।
ওমান অধিনায়ক জিশান মাহমুদ বলেছেন, বিকালের গরমে শুকনো পিচে তিনি তার স্পিনারদের কাজে লাগাতে চান। স্বাগতিকদের দলে রয়েছেন শীর্ষ উইকেটশিকারি ও স্পিন অলরাউন্ডার জিশান মাকসুদ এবং ২৯ বছর বয়সী উইকেটকিপার নাসিম খুশি।
প্রথম ও দ্বিতীয় ওভার মিলিয়ে পাঁচ বলের ব্যবধানে দুটি উইকেট হারায় পাপুয়া নিউ গিনি। ডাক মারেন দুই ওপেনার টনি উরা ও লেগা সিয়াকা। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে বিলাল নেন উইকেট। তারপর দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে কলিমউল্লাহ নেন অন্য উইকেট। রানের খাতা না খুলতেই ওমান হারায় ২ উইকেট, পরে অধিনায়ক আসাদ ভালা ও চার্লস আমিনি প্রতিরোধ গড়েছেন পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে ৪০ রান করে ২ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে।
দারুণ ছন্দে ছিলেন আসাদ ও আমিনি। ১০ ওভার যেতেই ভুল বোঝাবুঝিতে ভাঙে এই জুটি। ১২তম ওভারের তৃতীয় বলে নন স্ট্রাইকে থাকা আমিনি সিঙ্গেল নিতে গিয়ে আসাদের সংশয়ের কারণে ফিরে যান। ততক্ষণে বোলার মোহাম্মদ নাদিম রান আউট করেন তাকে। ২৬ বলে চারটি চার ও ১ ছয়ে ৩৭ রানে মাঠ ছাড়েন আমিনি। অধিনায়কের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৮১ রানের।
৪০ বলে চারটি চার ও তিনটি ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি করা আসাদ থামেন ৫৬ রান করে। কলিমউল্লাহর কাছে শেষ হয় তার ৪৩ বলে সাজানো ইনিংসের।
আর দাঁড়াতে পারেনি পাপুয়া নিউ গিনি। মাকসুদ ১৬তম ওভারে তিন উইকেট নেন। পরের ওভারে এই স্পিনার নবম উইকেট তুলে নেন।
বিএসডি/এসএসএ