নিজস্ব প্রতিবেদক,
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সরকার সংগীতসহ শিল্পের সকল শাখায় মেধাসত্ব ধারণ, লালন এবং সর্বোপরি তা সংরক্ষণে বদ্ধপরিকর। সেজন্য কপিরাইট আইনকে যুগোপযোগীকরণ এবং স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও কার্যকর কপিরাইট সমিতি গঠনসহ নানাবিধ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে একটি সৃজনশীল, মেধাবী ও জ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
শনিবার গীতিকবি সংঘের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনলাইনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, সংগীত সংশ্লিষ্টদের মেধাসত্ব সংরক্ষণ, ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং সংগীতের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই খাতের তিন সংগঠন গীতি কবি সংঘ (GKS), সিঙ্গার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (SAB) ও মিউজিক কম্পোজার্স সোসাইটি অব বাংলাদেশ (MCSB) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবর ১৭ দফা উন্নয়ন প্রস্তাব পেশ করেছে যার বেশিরভাগই মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় বিবেচনাধীন।
তিনি বলেন, সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের মতো সঙ্গীত বিশেষ অবদানের জন্য ‘জাতীয় সঙ্গীত পুরস্কার’ প্রবর্তন করা হবে। প্রতিমন্ত্রী সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে বিদেশে সাংস্কৃতিক দল প্রেরণের ক্ষেত্রে সঙ্গীতের বিশেষ দল প্রেরণ, সঙ্গীত বীমা বাস্তবায়ন, নির্মাণাধীন কপিরাইট ভবনে সঙ্গীতের তিন সংগঠনের জন্য অফিস স্পেস বরাদ্ধকরণ, পূর্বাচলে সঙ্গীতের জন্য এক্সক্লুসিভ কনসার্ট ভেন্যুর ব্যবস্থাকরণ, সরকারি হাসপাতালে সঙ্গীত সংশ্লিষ্টদের জন্য বিশেষ মর্যাদা ও ফি-তে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ তিন সংগঠনের বিভিন্ন দাবি পূরণের আশ্বাস প্রদান করেন।
গীতিকবি সংঘের সভাপতি শহীদ মাহমুদ জঙ্গী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর, কপিরাইট বোর্ডের সভাপতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন এবং কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী।
সাজ্জাদ/মুছা