নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভয়াবহ বন্যায় সুনামগঞ্জ শহরতলিতে নানা রোগে আক্রান্ত দুই ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাদের মরদেহ দাফন করা সম্ভব হয়নি। কবরস্থান পানিতে ডুবে থাকায় মরদেহ দুটি কফিনে রাখা হয়েছিল বলে জানান স্বজনরা। গত ২১ জুন বিকেলে কবরস্থানের পানি সরে গেলে মৃতদের দাফন করা হয়।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইবরাহিমপুর গ্রামের আশরাফ আলী (৬৫) ১৮ জুন ভোররাতে মারা যান।
তখন ভারি বর্ষণ ও বজ্রপাত ছিল। ডুবে ছিল পুরো গ্রাম। মৃতের ঘরেও পানি ছিল। এই অবস্থায় তিনি মারা গেলে স্বজনরা দাফন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন। কারণ তারা লাশ দাফনের জন্য উঁচু স্থান খুঁজে পাচ্ছিলেন না। মোবাইল নেটওয়ার্ক ও বিদ্যুৎ না থাকায় কাউকে খবরও দিতে পারছিলেন না। তাই স্বজনরা কফিনে রাখেন মৃত ব্যক্তিকে। একই গ্রামের সাজনু মিয়াও পরদিন মারা যান। তাকেও একইভাবে রাখেন স্বজনরা।
মৃত আশরাফ আলীর মেয়ে তানজিনা আক্তার বলেন, আমাদের ঘরে পানি ছিল। এর মধ্যেই বাবা মারা যান। আমরা তার দাফন-কাফন নিয়ে টেনশনে ছিলাম। গত ২১ জুন গ্রামের গোরস্থান ভেসে উঠলে আমরা বাবাকে দাফন করেছি। তিনি বলেন, এই ভয়াবহ পরিস্থিতি কখনো সুনামগঞ্জে আসেনি। কেউ কারো খবর নিতে পারছিল না। এই অবস্থায় যারা অসুস্থ ছিলেন, বৃদ্ধ ও নারী এবং শিশুদের নিয়ে তাদের পরিবার এক দুর্বিষহ সময় অতিবাহিত করেছেন।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরিয়ার বলেন, আমি এ বিষয়টি জানি না। হয়তো নেটওয়ার্ক ও বিদ্যুৎ না থাকায় কেউ জানাতে পারেননি।
বিএসডি/ ফয়সাল