নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে তার মৃতদেহ নেই বলে চ্যালেঞ্জ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, যদি প্রমাণ হয় মৃতদেহ আছে, তবে জাতির কাছে নাকে খৎ দিয়ে ক্ষমা চাইব।
সোমবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হত্যা রোধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে তার মৃতদেহ থাকলে আপনারা ছবি দেখান। ছবি যদি নাও থাকে বিজ্ঞানকে আমরা কেউ অস্বীকার করতে পারি না। ডিএনএ টেস্ট করলেই পাওয়া যাবে। যদি ওখানে কোনোকিছু থেকে থাকে, ডিএনএ টেস্ট করে প্রমাণ করুক। যদি প্রমাণ হয়, জাতির কাছে নাকে খৎ দিয়ে ক্ষমা চাইব। আমি যদি মিথ্যা কথা বলে থাকি, জাতি বিচার করুক, অন্য কোনো দণ্ড দিলেও মেনে নেব। আমি চ্যালেঞ্জ করি যে, সেখানে তার মৃতদেহ নেই।
তিনি বলেন, কার না কার মৃতদেহ পাওয়া গেল, জিয়ার কবর বলে চালিয়ে দেবেন, এমন মিথ্যাচার চলতে পারে না। একটি মিথ্যা কবরকে জিয়াউর রহমানের কবর বলে চালিয়ে দেবেন, এটি মিথ্যাচার।
মন্ত্রী বলেন, যিনি রাষ্ট্রপতি, তার সবকিছু সবই ধারণ করা থাকে। রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার অনুসারে সবকিছুর ছবি ধারণ করা থাকে। জিয়াউর রহমানের লাশের ছবিটা তাহলে দয়া করে দেখান। মহাসচিব বলেছেন তার পোস্টমর্টেম হয়েছে, ২২টা বুলেট পাওয়া গেছে। যদি সত্য হয়ে থাকে ছবি দেখান, যদি বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকে, মুখের ছবি দেখান। ছবি যদি নাও থাকে ডিএনএ টেস্ট করলেই পাওয়া যাবে। ডিএনএ টেস্ট করে প্রমাণ করুক।
মন্ত্রী এ সময় বলেন, আমি আরও একটি কথা বলতে চাই। সেটি হলো মহাসচিব বলেছেন, আমি জিয়াউর রহমানের কবর অপসারণের কথা বলেছি। তবে আমি বলতে চাই যে, কথাটি আসলে আংশিক সত্য, পুরোপুরি সত্য নয়। বিষয়টি হচ্ছে আমি জাতীয় সংসদে একাধিকবার বলেছি সংসদের নকশার বাইরে যা কিছু আছে, তার সবকিছুই আমাদের অপসারণ করা উচিত। কেননা এটি বিশ্বের মধ্যে একটি অনন্য নিদর্শন। আমি নকশার বাইরে সবকিছুই অপসারণ করতে বলেছি। সেখানে অন্যান্যদের কবরও আছে। শুধুমাত্র জিয়াউর রহমানের কবরকে নির্দেশ করে বলা নয়।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।
বিএসডি/এমএম