আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রাণঘাতী করোনার দৈনিক সংক্রমণের হিসেবে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে জার্মানি এবং এ রোগে শুক্রবার সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ায়। বিশ্বজুড়ে মহমারি শুরুর পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স জানিয়েছে এ তথ্য।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্স বলছে, শুক্রবার জার্মানিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭২ হাজার ১৫৯ জন এবং এ রোগে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩৭৪ জনের।
অন্যদিকে, একই সময়সীমায় রাশিয়ায় করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৩৫ জনের এবং এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৯০ জন।
রাশিয়া ও জার্মানি ছাড়া অন্যান্য যেসব দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারে উর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে সেগুলো হলো- যুক্তরাজ্য (নতুন আক্রান্ত ৫০ হাজার ৯১, মৃত্যু ১৬০), ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ৩৪ হাজার ৪৩৬, মৃত্যু ৬০), যুক্তরাষ্ট্র (নতুন আক্রান্ত ৩১ হাজার ৪৫৪, মৃত্যু ২৯৮), তুরস্ক (নতুন আক্রান্ত ২৪ হাজার ২, মৃত্যু ২০১), চেক প্রজাতন্ত্র (নতুন আক্রান্ত ২৭ হাজার ৭১৭, মৃত্যু ৪৮) এবং পোল্যান্ড (নতুন আক্রান্ত ২৬ হাজার ৭৭৫, মৃত্যু ৪২১)।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার বিশ্বজুড়ে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ৬১ হাজার ৭১৯ এবং এ রোগে মৃতের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ২২৮ জন। এর মধ্যে দিয়ে বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ১ হাজার ৩৩৭ জনে এবং এ রোগে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ লাখ ৫ হাজার ৮৩৮ জনে।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সক্রিয় করোনা রোগী আছেন ১ কোটি ৯৯ লাখ ৯১ হাজার ৩৫৪ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৯৯ লাখ ৮ হাজার ২১৪ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৮৩ হাজার ১৪০ জন।
শুক্রবার করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫১৮ জন। এই নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির মোট সংখ্যা পৌঁছাল ২৩ কোটি ৫৬ লাখ ৫৪ হাজার ১২৫ জনে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
বিএসডি/এসএসএ