নিজস্ব প্রতিবেদক:
এর আগে দেশে করোনা শনাক্তের হার ১০-এর ওপরে ছিল গত ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১০ দশমিক ২৪। এরপর শনাক্তের হার ধারাবাহিকভাবে কমেছিল।
বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমণের চিত্রে কয়েক দফা ওঠানামা করতে দেখা গেছে। করোনা পরিস্থিতি প্রায় সাড়ে তিন মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের প্রভাবে দ্রুত বাড়তে থাকে রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে নিয়মিতভাবে রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার কমেছে। দেশে সংক্রমণ কমে আসায় আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। তুলে নেওয়া হয় করোনাকালীন বিধিনিষেধ। ২৫ মার্চ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০০-এর নিচেই ছিল। এর পর থেকে তা বেড়েছে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় যে ২ হাজার ২৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১ হাজার ৯৬৮ জন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। এর মধ্যে ১ হাজার ৮১৪ জনই মহানগরসহ ঢাকা জেলার। বাকি বিভাগগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামে ১৪৫, খুলনায় ৩৭, রাজশাহীতে ৩১, ময়মনসিংহে ২৫, বরিশালে ২৪ ও সিলেটে ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সংক্রমণের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ১৯ লাখ ৭১ হাজার ৬০২ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৭ হাজার ২১৯ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১৪৫ জনের।
দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সব জায়গায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। মাস্ক না পরলে শাস্তি দেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। সরকারের করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও জনসমাগম বর্জন করার পরামর্শ দিয়েছে। এ ছাড়া ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানে (যেমন মসজিদ, মন্দির, গির্জা ইত্যাদি) সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে।
বিএসডি/ এমআর