প্রযুক্তি ডেস্ক,
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং বিজ্ঞানীদের মতে, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের যত ধরন পাওয়া গেছে তার মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট মানুষের স্বাস্থ্য ও শারীরিক সুস্থতার মারাত্মক অবনতি ঘটাতে পারে উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি একে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ ঘোষণা করেছে।
যা হোক, প্রশ্ন হলো ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট কেন এতো উদ্বেগজনক ও বিপজ্জনক? এটিকে মারাত্মক সংক্রামক বলা হচ্ছে, কিন্তু করোনার এই নতুন ধরন কী কারণে বেশি সংক্রামক?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মানুষ থেকে মানুষে দ্রুত ও কার্যকরভাবে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যমান ‘ই৪৮৪কিউ’ এবং ‘এল৪৫২আর’ নামক দুটি মিউটেশন উচ্চ সংক্রামক। এটি মানুষের ইমিউন সিস্টেম বা রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থায় সহজে প্রবেশ ও আক্রমণ করতে পারে। করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট মানব হোস্ট কোষের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে অনেক বেশি দক্ষ এবং দ্রুতগতিতে নিজেকে বৃদ্ধি করতে পারে, যার ফলে করোনার মূল স্ট্রেইনের তুলনায় এটি শরীরে বেশি ক্ষতি করে।
এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ইমিউন সিস্টেমকে ফাঁকি দিতে পারে বলে সংক্রমণে বা টিকায় অর্জিত অ্যান্টিবডি ব্যর্থ হতে পারে। অর্থাৎ যারা মূল কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়েছেন অথবা টিকা নিয়েছেন তারাও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ঝুঁকিতে আছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, চীনের গুয়াংডং প্রদেশের সেন্টার অব ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন পরিচালিত এক গবেষণায় ৬২ জন করোনা রোগীকে কোয়ারেন্টাইনে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হয়। তাদের ভাইরাল লোডের পরিমাণ বিশ্লেষণে দেখা যায়, করোনার মূল স্ট্রেইনে আক্রান্ত রোগীদের তুলনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীদের রক্তে ভাইরাল লোড ১২৬০ গুণ বেশি ছিল।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের রোগীরা ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার ৪ দিন পর উপসর্গ প্রকাশ পেয়েছে, অন্যদিকে করোনার মূল স্ট্রেইনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্তে গড়ে ৭ দিন সময় লেগেছে।
বিএসডি/আইপি