আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মহামারি আঁকারে থাবা বসানো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বাড়ল প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে শনাক্ত নতুন রোগীর সংখ্যাও। তবে সংক্রমণ বাড়লেও গত একদিনে দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত রোগীর তুলনায় সুস্থ হয়েছেন বেশি লোক। ফলে বৃহস্পতিবারও (১৯ আগস্ট) ভারতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা হ্রাসের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে।
এদিন দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিবৃতি অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৪০১ জন মানুষ। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় দেশটিতে নতুন সংক্রমিত রোগী সংখ্যা এক হাজারের বেশি বেড়েছে। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে শনাক্তের মোট সংখ্যা তিন কোটি ২৩ লাখ ২২ হাজার ২৫৮ জনে পৌঁছেছে।
এ দিকে গত বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবারও ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গেল এক দিনে দেশটিতে করোনার থাবায় মৃত্যু হয়েছে ৫৩০ জনের। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে প্রাণহানি বেড়েছে ৯০ জনের। ফলে মহামারির শুরু থেকে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে চার লাখ ৩৩ হাজার ৪৯ জন রোগীর।
অপর দিকে দৈনিক সংক্রমণ ও সুস্থতার ক্ষেত্রেও বৃহস্পতিবার ভারতে বজায় রয়েছে স্বাভাবিক চিত্র। অর্থাৎ গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় নতুন করে সংক্রমিত রোগীর তুলনায় সুস্থ হয়েছেন বেশি লোক। ফলে বৃহস্পতিবার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আরও হ্রাস পেয়েছে।
গত একদিনে ভারতে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ৩৯ হাজারের বেশি লোক। অন্য দিকে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ৩৬ হাজারের বেশি। ফলে দেশটিতে মোট সক্রিয় কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে তিন লাখ ৬৪ হাজার ১২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ১৪৯ দিনের মধ্যে যা দেশটিতে সর্বনিম্ন।
ভারতের মোট সংক্রমিত করোনা রোগীর ১ দশমিক ১৩ শতাংশ বর্তমানে সক্রিয় আছেন। ২০২০ সালের মার্চের পর থেকে এই হার দেশটিতে সর্বনিম্ন। এ দিকে বৃহস্পতিবার ভারতে সুস্থতার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে।
সর্বশেষ সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৫৩ শতাংশে পৌঁছেছে। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে যা দেশটির সর্বোচ্চ রেকর্ড।
অপর দিকে নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হার কমে ১ দশমিক ৯৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যদিও বুধবার এই হার ছিল ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
উল্লেখ্য, টানা ২৪ দিন যাবত ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হার ৩ শতাংশের নিচেই রয়েছে।