লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে হতদরিদ্রদের একটি প্রকল্পেই প্রায় শতাধিক পরিবার জলাবদ্ধতা ও জলোচ্ছ্বাস থেকে মুক্তি পেয়েছে।
২০২১-২০২২ অর্থ বছরের ২০২২ সালের ১লা জানুয়ারীতে শুরু হওয়া ৪০ দিনের হতদরিদ্রদের কর্মসৃজন প্রকল্পে উপজেলার ৬নং পাটারির হাট ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ডে চর ফলকন গ্রামে অবস্থিত মৌলভী আব্দুল আজিজ সড়ক হাজিরহাট-ইসলামগঞ্জ পাকা রোড থেকে পাটারির হাট পাকা সড়ক পর্যন্ত ৮০০ মিটার রাস্তার মাটির কাজ করা হয়। এই রাস্তায় মাটির কাজ করাতে দুই দিকে লাভবান হয়েছে গ্রামবাসী, নদী ভাঙার কবলে মেঘনার পাড়ের বেড়ি ভেঙে যাওয়াই বর্ষার মৌসুমে এই অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাসের পানি গ্রাম প্রবেশ করতো। এতে করে পানিতে ডুবে যেত পুকুর, বাগান, বাড়ি, ঘর। রাস্তাঘাট ভেঙে চলাচলে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো এই গ্রামের মানুষ।
রাস্তাটি পূর্বের চেয়েও ৫ ফুট উচু করায় গ্রামবাসী আশাবাদী জলোচ্ছ্বাসের কবল থেকে রক্ষা পাবে বলে। তাছাড়া ও রাস্তাটি কাজ করতে গাইমরা খাল থেকে মাটি তোলায় খালটি খননের কাজ ও হয়েছে, এতে করে প্রায় এক হাজার পরিবার জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেয়েছে বলে জানান এলাকা বাসি।
পূর্বে এই গাইমরা খালটি ভরাট থাকায় আশ পাশের বাড়িঘর, ক্ষেতের পানি আটকে জলাবদ্ধতা দেখা যেতো, নষ্ট হতো মাঠের ফসল। গ্রামবাসি জানান, রাস্তার কাজ ও খাল খননে আমার দুই দিকেই উপকৃত, গাইমরা খাল ভরাট থাকায় আগে বৃষ্টি হলেই পানি আটকে আমাদের জমিনের ফসল নষ্ট হতো। বর্ষার মৌসুমে জলোচ্ছ্বাসের পানি ঢুকে ঘর-বাড়ি ভেসে যেতো রাস্তাটি উচু করায় জলোচ্ছ্বাসের পানি আসার সম্ভাবনা নেই।
বিলকিছ বেগম জানান, বর্ষার সময় পানি উঠে বাড়ি-ঘর ডুবে যেতো, এতে করে ছেলে-মেয়ে স্কুলে যেতে অনেক কষ্ট পোহাতে হতো, রাস্তাটি উচু করায় জলোচ্ছ্বাসের পানি না আসার সম্ভাবনা বেশি।
পাটারির হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট নুরুল আমিন রাজু জানান, মেঘনার ভাঙনে বেড়ি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বর্ষার মৌসুমে জলোচ্ছ্বাসের পানি ঢুকে গ্রামের ঘর বাড়ি ডুবে যেতো তাই হতদরিদ্রদের বরাদ্দে উচু করে রাস্তা নির্মাণ করেছি যাতে বর্ষায় পানি না ঢুকতে পারে।
বিএসডি/ এলএল