আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কাজাখস্তানে বিক্ষোভ থামাতে রাশিয়ার প্যারাট্রুপার বাহিনী পৌঁছেছে। প্রেসিডেন্টকে সাহায্য করতে মস্কো নেতৃত্বাধীন কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (সিএসটিও) বাহিনী এসেছে।
এর আগে বুধবার জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জেরে কাজাখস্তানে চরম বিক্ষোভ দেখা দেয়। বিক্ষোভের জেরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আসকার মমিন পদত্যাগ করেছেন।
কিন্তু এরপরও পরিস্থিতি শান্ত্ব না হওয়ায় রাতে প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ দেশের পরিস্থিতি শান্ত করতে সিএসটিওর সাহায্য কামনা করেন। রাশিয়া ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে তৈরি পাঁচটি রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত এ জোট। রাশিয়া নেতৃত্বাধীন এই জোটে আরও রয়েছে আর্মেনিয়া, বেলারুস, কাজাখস্তান কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তান।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে কাজাখস্তানে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তবে এর পেছনে রাজনৈতিক অসন্তোষও রয়েছে। আর এ বিক্ষোভের জন্য বিদেশি ‘সন্ত্রাসী গ্যাং’কে দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট তোকায়েভ।
কাজাখস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ দ্রুত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেকে বিস্মিত হয়েছেন। কিন্তু এই বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে এ ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, শুধু জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে এটি হচ্ছে না।
বিক্ষোভে দেশটিতে হতাহতের সঠিক সংখ্যা জানা যাচ্ছে না। তবে আলমাতির পুলিশ মুখপাত্রের বরাতে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সরকারি ভবনে হামলার পর ডজনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। শহর কর্তৃপক্ষ বলেছে, ৩৫৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন ১২ জন।
কাজাখস্তানের জাতীয় ব্যাংক সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভের ভাষণের পর আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও সিএসটিওর চেয়ারম্যান নিকোল পাশিনিয়ান এক বিবৃতিতে বলেছেন, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো হবে।
সূত্র:গার্ডিয়ান।
বিএসডি/ এলএল