গত বছরের ২৮ অক্টোবরের আগে-পরে কারাগারে বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী মারা যাওয়ার অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, গত ২৮ অক্টোবরের আগে-পরে কারাগারে বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। যদিও কারা কর্তৃপক্ষ সব মৃত্যুর পর একই রকমের সাফাই গেছে যাচ্ছে– কারাগারে নয়, হাসপাতালে তারা মারা গেছে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
রিজভী বলেন, বিরোধী দলের ওপর চরম ক্র্যাকডাউন চালিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আপনি (শেখ হাসিনা) বন্দি করেছেন কী উদ্দেশ্যে সেটি কি দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জানে না? কারাগারে রাজবন্দিদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের মতো দস্যুদের ন্যায় পরিবেশে তৈরি করার উদ্দেশ্য ছিল ‘আমরা আর মামুদের’ একতরফা নির্বাচন। আর সেটি বাস্তবায়ন করতে আপনি যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বিরোধী দলের মিছিল-সমাবেশে হামলা চালিয়ে, গুলি করে, মানুষ হত্যা করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ রাজনৈতিক নেতাদের কারাগারে নিক্ষেপ করে নিষ্ঠুরভাবে দমনপীড়ন চালিয়েছেন তা আপনার দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক প্রকাশ্যেই বলে দিয়েছেন। সেটাকে খণ্ডন করবেন কীভাবে?
তিনি আরও বলেন, ভারত যে আপনাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়েছে সেটি তো আপনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী, মিথ্যার তাস দিয়ে মানুষের মন জয় করা যায় না।
সংবাদ সম্মেলনে কারাগারে মারা যাওয়া নেতাকর্মীদের একটি তালিকা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন রিজভী। তারা হলেন– যুবদল নেতা মো. কামাল হোসেন মিজান, সাতক্ষীরা উপজেলা বিএনপির নেতা আব্দুস সাত্তার, লক্ষীটারি ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মনোয়ারুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহসিনুল মৃলক প্রমুখ।
খুব তাড়াতাড়ি বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
বিএসডি / এলএম