নিজস্ব প্রতিবেদক:
অবশেষে শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বইমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে বইমেলা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
এবারের অমর একুশে বইমেলা-২০২২-এর মূল প্রতিপাদ্য- ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী’।
করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছরের বইমেলার সময় অর্ধেক করা হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩৮তম এই মেলা চলার ঘোষণা হলেও করোনা সংক্রমণ কমলে সময়সীমা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
আগামীকালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করবেন সংস্কৃতিসচিব মো. আবুল মনসুর। স্বাগত বক্তৃতা করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা।
ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বইমেলা চলবে। রাত ৮টার পর মেলায় প্রবেশ করতে পারবে না কেউ। আর ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে বইমেলা। এ ছাড়া মহান একুশে ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ৭ লাখ বর্গফুট জায়গায় এবারের বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় মোট ৩৫টি প্যাভিলিয়নসহ একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৪২টি ইউনিট এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৩৪টি ইউনিট; মোট ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বইমেলায় প্রবেশ ও বাহির পথে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেলার এলাকাজুড়ে তিন শতাধিক ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকবে। প্রবেশ ও বাহির পথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪টি প্রবেশ ও ৩টি বাহির পথ জনসাধারণের প্রবেশ ও বাহির হওয়ার জন্য থাকবে। বিশেষ দিনগুলোতে লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, বাংলা একাডেমির ফেলো এবং রাষ্ট্রীয় সম্মানপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য প্রবেশের বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।
সূত্র : বাসস