নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা নগরীর একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়ার অভিযোগ ফেসবুক লাইভে করা ফয়েজ উদ্দীনসহ বিভিন্ন মণ্ডপে ভাঙচুরের ঘটনায় ৪২ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ের আলোচিত মণ্ডপ এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, মণ্ডপে কোরআন শরিফ পাওয়া গেছে, এমন তথ্য দিয়ে বুধবার সকালে ফেসবুকে লাইভ করেন ফয়েজ উদ্দীন। এরপর দ্রুত সেটি ভাইরাল হয়, ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা।
ডিআইজি আনোয়ার সাংবাদিকদের জানান, পুরো ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। শহরে (বুধবার) যেখানে যা হয়েছে, সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসব ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
ডিআইজি বলেন, ‘এ ঘটনার পরই দেশের বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও দেখলে বোঝা যায়, একটি স্পষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বিশেষভাবে ঘটনাস্থল থেকে যে লোক (ফয়েজ উদ্দীন) ভিডিও করে ছড়িয়ে দিয়েছে, তাকে আটক করা হয়েছে। সে কোনো দলের কর্মী কি না তাও যাচাই করা হচ্ছে।’
জাতীয় সংসদের হুইপ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ধর্মের মানুষ তাদের নিজ ধর্ম পালন করছে। হঠাৎ করে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশবিরোধী কোনো একটি নির্দিষ্ট পক্ষ পবিত্র কোরআনকে সামনে এনে দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে।
‘হিন্দু ধর্মের ভাই-বোনেরা পূজা উদযাপন করছিলেন। রাতে পবিত্র কোরআনকে টেনে এনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা ঢাকা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টিম এসেছি। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এসেছেন। বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।’
বিএসডি / আইকে