নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘মাঘের শীতে বাঘ ডাকে’-এ প্রবাদটি গত কয়েকদিন ধরে কুড়িগ্রামের প্রচন্ড শীতে প্রমাণ হয়েছে। দ্বিতীয় দফা টানা চারদিন শৈত্য প্রবাহের পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। কখনো মাঝারী কখনো মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এ কয়েকদিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, এ অবস্থা আরো দুই থেকে তিনদিন বিরাজ করতে পারে। শীতের তীব্রতার ফলে বিপাকে রয়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষরা। গরম কাপড়ের অভাবে শীতে ভুগছেন দরিদ্র ও ছিন্নমুল মানুষ। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
অপরদিকে, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুর রশীদ জানান, চলতি বছর জেলায় ৬ হাজার ৮৮৫ হেক্টর বোরো বীজতলা ও ৭ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। তিনি জানান, শীতের ঠান্ডার প্রকোপ থাকলেও সকালের পর দিনে রোদের কারণে আলু কিংবা কোন কৃষিতে তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। এছাড়াও শীতজনিত রোগে প্রতিদিন হাসপাতালগুলোতে ভীড় বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি। শিশু ডায়রিয়া ও নিউমেনিয়ায় প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ জন ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।