আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ফের কূটনৈতিক মিশন চালু করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তালেবান সরকারের সঙ্গে ‘সীমিত সম্পৃক্ততা’ আরও বাড়াতে ইউরোপীয় দেশগুলোর এই জোট আগামী এক মাসের মধ্যে সেখানে মিশন চালু করতে যাচ্ছে। সোমবার (২৫ অক্টোবর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
ইইউয়ের মুখপাত্র নাবিলা মাসরালি সোমবার জানিয়েছেন, আগামী একমাসের মধ্যে সীমিত পরিসরে কাবুলে নিজের কূটনৈতিক মিশন আবার চালু করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর অর্থ হলো- প্রায় তিন মাস বা ১২ সপ্তাহ পর ফের কাবুলে ফিরে যাবেন সংস্থাটির কূটনীতিকরা।
তবে কাবুলে কূটনৈতিক মিশন চালু করলেও এখনই তালেবানকে স্বীকৃতি দেবে না ইইউ। নাবিলা মাসরালি দাবি করেন, কূটনৈতিক মিশন চালু করার ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই পদক্ষেপের অর্থ আফগানিস্তানের বর্তমান শাসনব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দেওয়া নয়।
তার ভাষায়, আফগানিস্তানের জনগণকে সাহায্য করার জন্য বাধ্য হয়ে আমাদেরকে তালেবানের সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে।
এদিকে আফগানিস্তানে কূটনৈতিক মিশন আবার চালু করার ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার। এটিকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে তারা।
তালেবানের উপ-মুখপাত্র মোল্লা আহমাদুল্লাহ ওয়াসিক বলেছেন, ইউরোপের এ সিদ্ধান্ত আফগানিস্তানের পাশাপাশি ইইউয়ের জন্যও একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তিনি বলেন, কাবুলে ইইউয়ের কার্যালয় এবং সেখানকার সকল কর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে তালেবান।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করার পর বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের দূতাবাসের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নও কাবুলে তার রাজনৈতিক কার্যালয় বন্ধ করে দেয়।
তবে এর দুই মাসের মাথায় ইইউ তাদের কূটনীতিকদের কাবুলে ফেরত পাঠানোর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে কি না তা যাচাই করার জন্য গত মাসে আফগানিস্তানে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল। তাদের মূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে কাবুলে ইইউয়ের কার্যক্রম আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
আফগানিস্তানকে ১০০ কোটি ইউরো সাহায্য দিতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে সংস্থাটি মনে করে, তাদের নিজস্ব কর্মীর উপস্থিতি ছাড়া এই সাহায্য সঠিকভাবে আফগান সুবিধাভোগীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়।