ডেস্ক রিপোর্ট-
বিভিন্ন খাতে উন্নতি করলেও এখনও ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫৮ শতাংশই কৃষিনির্ভর। কৃষিপণ্য দেশটির অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে বরাবরই। দেশটিতে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বৃহৎ জনগোষ্ঠীর খাদ্যের চাহিদা মেটাতে প্রধান ভূমিকা রাখে। তবে শুধু স্থানীয় বাজারেই নয়, কালের পরিক্রমায় আন্তর্জাতিক বাজারেও কৃষি খাতে আধিপত্য বাড়িয়েছে দেশটি।
ডব্লিউটিওর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে কৃষিপণ্যের বৈশ্বিক রফতানি বাজারে ৩ দশমিক ১ শতাংশ হিস্যা বেড়েছে ভারতের। এ সময় দেশটি নিউজিল্যান্ডকে পেছনে ফেলে শীর্ষ দেশগুলোর তালিকা নবম স্থানে উঠে আসে। ওই বছর রফতানি বাজারে মেক্সিকোর অংশীদারিত্ব বেড়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। দেশটি মালয়েশিয়াকে পেছনে ফেলে শীর্ষ সাতে জায়গা করে নিয়েছে। কৃষিপণ্য রতফানিকারক দেশগুলোর তালিকায় ১৯৯৫ সাল থেকে প্রথম স্থানে ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে ১৯৯৫ সালে বিশ্ববাজারে চাল রফতানিতে প্রথম ছিল থাইল্যান্ড। এ সময় বিশ্ববাজারে দেশটির অংশীদারিত্ব ছিল ৩৮ শতাংশ। ২৬ শতাংশ অংশীদারিত্ব নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভারত। এর পরই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান। চাল রফতানি বাণিজ্যে বিশ্ববাজারে দেশটির অংশীদারিত্ব ছিল ১৯ শতাংশ।
ডব্লিউটিওর প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ভারত তুলা রফতানিতে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দেশটির তুলার অংশীদারিত্ব বেড়ে ৭ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে তুলা আমদানিতে ভারত শীর্ষ চারে উঠে এসেছে। আমদানি বাজারে দেশটির হিস্যা বেড়ে ১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
সয়াবিন রফতানিতে দশমিক ১ শতাংশ অংশীদারিত্ব নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ নবম স্থান অর্জন করেছে ভারত। এছাড়া মাংস রফতানি খাতেও বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। ডব্লিউটিএ জানায়, মাংসের বিশ্ববাণিজ্যে ভারতের অংশীদারিত্ব বেড়ে ৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। দেশটি মাংস রফতানিতে বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় দেশগুলোর তালিকায় সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, করোনা মহামারীতে কৃষিপণ্য উৎপাদন নিয়ে বিশ্বজুড়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মহামারীর নতুন ধরন ডেল্টার প্রাদুর্ভাব উৎপাদন খাতকে আরো বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে। তবে এমন পরিস্থিতিতেও ভারত বৈশ্বিক চাহিদা পূরণে কৃষিপণ্য উৎপাদন বাড়াচ্ছে। পাশাপাশি কৃষি ও খাদ্যপণ্য রফতানি বৃদ্ধিতেও মনোযোগ বাড়াচ্ছে দেশটি।
বিএসডি/আইপি