বর্তমান সময় ডেস্ক:
কীটতত্ত্ববিদরা জানেন যে, কেন্নোর নামকরণে নাটকীয়তা আছে। এই নামের অর্থ হলো- হাজারের বেশি পা। কিন্তু কোনো কেন্নোর এক হাজারের বেশি পা দেখেননি কীটতত্ত্ববিদরা।
অন্তত এই কেন্নোটির আগে তেমনটি ঘটেনি। অথচ এবার এক হাজারের বেশি পা বিশিষ্ট কেন্নোর দেখা মিলেছে। অস্ট্রেলিয়ার কীটতত্ত্ববিদরা এক হাজার তিন শতাধিক পা বিশিষ্ট কেন্নোর সন্ধান পেয়েছেন। সায়েন্টিফিক রিপোর্টে গতকাল বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করা হয়েছে।
ভার্জিনিয়া টেক-এর কীটতত্ত্ববিদ পল মারেক বলেছেন, এটা আমার চরম ব্যাপক আবেগের। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এই প্রজাতির কেন্নোর ব্যাপারে প্রথম জানতে পারেন তিনি।
ওই সময় অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের জীববিজ্ঞানী ব্রুনো ব্রজাত্তো সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনবক্সে এই প্রজাতির কেন্নোর ছবি তাকে দেখান। সেই ছবিতে পল উপলব্ধি করতে পারেন যে, কেন্নোটির পায়ের সংখ্যা বেশি মনে হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে সমতল ভূমি থেকে ৬০ মিটার গভীরে এই প্রজাতির কেন্নোর উপস্থিতি দেখা গেছে। খনি কম্পানিগুলি সোনা এবং নিকেলের মতো খনিজ অনুসন্ধানের ব্যাপারে খননের সময় কেন্নোটির দেখা পাওয়া যায়।
জীববিজ্ঞানী ব্রুনো ব্রজাত্তো বলেন, সত্য কথা হলো- আমি যখন এটি প্রথমবার দেখি, তখনই বেশ উত্তেজনা অনুভব করি। মাটির গভীরে বাস করা এই প্রজাতির কেন্নোর চোখ নেই। শরীর ক্রিম কালারের। নারী কেন্নোটির ১৩০৬টি পা দেখা গেছে। সাধারণ অন্য কেন্নোর তুলনায় এটির পায়ের সংখ্যা দ্বিগুণ।
সূত্র: দ্য স্ট্রেইট টাইমস।
বিএসডি/ এলএল