বিরাট কোহলি তার ক্যারিয়ারের প্রথম ইংল্যান্ড সফরে বেশ দুঃসময় পার করেছিলেন। ২০১৮ সালে শেষ সফরে সে ইংল্যান্ড জুজু ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। গেল ইংল্যান্ড সফরের সে সাফল্যের পুনরাবৃত্তি এবার ঘটাতে পারবেন না কোহলি, এমন কিছুরই ভবিষ্যদ্বাণী করে বসেছেন সাবেক নিউজিল্যান্ড ব্যাটার গ্লেন টার্নার। জানালেন, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে তার সতীর্থরাও পড়বেন ঘোর বিপাকে।
২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরটা কোহলি পারলে ভুলেই যেতে চাইবেন। ১০ ইনিংসে ১৩৪ রান, গড় ১৩.৪! অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে কোহলিকে এমন নড়বড়ে লাগেনি কখনো। তবে বছর চারেক পরই যখন আবার খেললেন ইংলিশ গ্রীষ্মে, দারুণ ব্যাটিংয়ে নাকাল করলেন ইংলিশ বোলারদের। দশ ইনিংসে ৫৯৩ রান, গড় ৫৯.৩, দুটো শতকের পাশাপাশি তুলে নেন তিনটে অর্ধশতক।
সেই সফর ভুলে টার্নার টানলেন গত বছর নিউজিল্যান্ডে কোহলিদের ব্যর্থতাকে। সে সিরিজে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপ বোল্ট, সাউদি, ডি গ্র্যান্ডহোম, জেমিসনের তোপে দুইশ রানের কোটা পেরোতে পেরেছিল মোটে একবার। সেই সিরিজের কথা মনে করেই সাবেক নিউজিল্যান্ড ওপেনার মনে করছেন, ফাইনালে কাজটা মোটেও সহজ হবে না ভারতের।
সুইংয়ে ভারতের দুর্বলতার পাশাপাশি আছে নিউজিল্যান্ড বোলারদের ফর্ম। কিউই পেস চতুষ্টয় আছেন বেশ ছন্দে। সঙ্গে যদি মেলে কন্ডিশনের আশির্বাদ, তাহলে তো কথাই নেই। সব মিলিয়ে টার্নার ভারতের দুর্দিনই দেখছেন।
তার কথা, ‘কোহলি তার রিফ্লেক্স হারিয়েছে কিনা, সেটা নিয়ে কথা বলব না। তবে যদি পিচ, কন্ডিশন সিম আর সুইং বোলিংয়ের অনুকূলে থাকে, তাহলে আগের বছর যেমন নিউজিল্যান্ডে দলটা ভুগেছে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও ভুগবে।’
টার্নারের মতে, কে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল জিতবে, তাও নির্ধারণ করে দেবে ইংল্যান্ডের কন্ডিশনই। বললেন, ‘কন্ডিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে যাচ্ছে।’ কী কারণে? টার্নার মনে করছেন, নিউজিল্যান্ড আর ইংল্যান্ডের কন্ডিশন কিছুটা কাছাকাছিই। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটারদের বেড়ে ওঠার জায়গার একটা ছাপ থাকে তাদের টেকনিক আর দক্ষতায়। ইংল্যান্ড অনেকটাই নিউজিল্যান্ডের মতো।’
ক্রিকেট বিশ্বের আলোচনার কেন্দ্রে থাকা ভারত-নিউজিল্যান্ডের এই ফাইনাল আগামী ১৮ জুন সাউদাম্পটনের এইজেস বোলে শুরু হবে।