নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শেখ আতিকুর বাবু বলেছেন, ক্যাপ্টেন শহিদ ইসলাম বৈবাহিক সূত্রে আমার বোনের স্বামী হলেও আদর্শিক মত পার্থক্যের কারনে দীর্ঘ ১০ বৎসরের অধিক তার সাথে আমার কোনো প্রকার যোগাযোগ নাই। তার বর্তমান কর্মকান্ডের সাথে আমি বা আমার পরিবার জড়িত না, তার সকল কর্মকান্ডের দায় শুধু তারই।
গতকাল এক প্রতিবাদলিপিতে একথা বলেন তিনি। শেখ আতিকুর বাবু আরো বলেন, গত ০৪ অক্টোবর দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ‘শীর্ষ সাইবার সন্ত্রাসীদের ভয়ংকর অপতৎপরতা” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের অংশ বিশেষ আমার দৃষ্টি আকর্ষন করে। প্রতিবেদনে লেখা হয়, ক্যাপ্টেন শহিদের শ্যালক শেখ আতিকুর রহমান বাবু মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বর্তমান সভাপতি।
তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নাম ভাঙ্গিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। শেখ আতিকুর বাবু বলেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্ব নেওয়ার পর হতে কখনোই সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন প্রকার আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেননি এবং আর্থিক লেনদেনের কোন দায়িত্ব পালন করি নাই। ব্যক্তিগত পর্যায়েও কোন ব্যক্তির নিকট থেকে কোন প্রকার আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেননি। শেখ আতিকুর বাবু আরো বলেন, তারা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। তার পিতা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ শেখ আবু তালেব বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত আস্থাভাজন কর্মী ছিলেন। তা পিতা বৃহত্তর যশোর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। তিনি বৃহত্তর যশোর জেলা পৌর আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ছিলেন। ৬ দফা আন্দোলনে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখেন।স্বাধীনতা যুদ্ধে ভূমিকা রাখতে যেয়ে তিনি শহীদ হন।
বঙ্গবন্ধু নিজে ১৯৭৩ সালে যশোর আসেন এবং তার পিতা শহীদ শেখ আবু তালেব সড়ক নামে ৪নং ওয়ার্ডে একটি সড়কের নামকরন করেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে পিতার নাম সম্বলিত স্মৃতি ফলক প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি যশোর পৌরসভার সাবেক ২ নং ওয়ার্ডের (ঘোপ, পুরাতন কসবা) পরপর ৪ বার নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন। শেখ আতিকুর বাবু আরো বলেন, তার মা কুলসুম তালেব যশোর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে ১৮ বছর দায়িত্ব পালন করেন।
সভাপতি থাকাবস্থায় মরণব্যধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যূবরণ করেন। তার বড় ভাই শেখ হাবিবুর রহমান খোকন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির পরপর ৩ বার বিভিন্ন সম্পাদকীয় দায়িত্ব পালন করেন। মারা যাওয়ার সময় তিনি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ছোট ভাই শেখ জাহিদুর রহমান লাবু যশোর জেলা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন, বর্তমানে তিনি যশোর জেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শেখ আতিকুর বাবু বলেন তিনি নিজে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের ৩১শে জুলাই ২০২১ বাংলাদেশী আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদিত কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে ক্যাপ্টেন শহিদের সাথে আমার নাম জড়িতে আমাকে সামাজিক ও সাংগঠনিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নাম ভাঙ্গিয়ে অর্থ আত্মসাতের মিথ্যা তথ্য সংবাদপত্রে প্রচার করছে।
বিএসডি/এসএফ