ক্রীড়া ডেস্ক,
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বাংলাদে শ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। বিগত পরিচালনা পরিষদের আমলের শেষ দিকে এসে হয়েছে বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম। বিসিবির সবশেষ এজিএম হয়েছিল ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর। প্রায় ৪ বছর পর আজ আয়োজন করতে যাচ্ছে চলমান পরিচালনা পরিষদ।
এজিএমের জন্য রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে যাবতীয় বন্দবস্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনাঢ্য ক্রীড়া ফেডারেশনে এজিএম শুরু হবে দুপুর ১২টায়।
এক সময় বোর্ডের কার্যক্রমে কাউন্সিলরদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। বর্তমান পরিচালনা পরিষদের মেয়াদে ক্রমেই কমেছে কাউন্সিলরদের অংশগ্রহণ। তবে এবারের এজিএমে সবার সরব উপস্থিতি থাকবে। যেখানে সর্বমোট ১৭০ জন কাউন্সিলরের মধ্যে বিভিন্ন জেলা ও বিভাগের ৭০ জন কাউন্সিলর ইতোমধ্যে সেই হোটেলে ঘাটি গেড়েছেন। তাদের আবাসন সুবিধার সঙ্গে মূল্যবান গিফট এবং এজিএমএ হাজিরার জন্য নগদ অর্থ বরাদ্দ রয়েছে।
কক্সবাজারে ২০০০ সালের অনুষ্ঠিত এজিএম-এ আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠনের তাগিদ দেয়া হলেও গত ২১ বছরে তার অগ্রগতি নেই। এবার জানা গেছে, বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই এজিএম-এ গঠনতন্ত্রে কোন সংশোধনী আসছে না। থাকছে না এজিএম এর সাথে ইজিএম আয়োজনের ঘোষণা।
চার বছরে জমে যাওয়া ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ অর্থ বছরের অডিট রিপোর্ট আজকের এজিএম-এ অনুমোদিত হয়ে যাচ্ছে। হিসাব বলছে, এই তিন অর্থ বছরে বিসিবি খরচ করেছে ৬৯২ কোটি, ৮৯ লাখ, ১৮ হাজার ৪৮০ টাকা। যেখানে ২০২০-২১ অর্থ বছরে খরচ হয়ে যাওয়া ২০৩ কোটি ৬৮ লাখ ১১ হাজার ৭২৬ টাকা এই সুযোগে অনুমোদন করিয়ে নিতে পারলে সেটি হবে ৮৯৬ কোটি ৫৭ লাখ ৩০ হাজার ২০৬ টাকা।
২০২১ এজিএমের আলোচ্য সূচিতে প্রধান নির্বাহী ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত গত তিন অর্থবছরের বোর্ডের যাবতীয় কার্যক্রম, হিসাব, নিরীক্ষা তুলে ধরার পাশাপাশি। বিসিবির প্রধান নির্বাহী তাঁর প্রতিবেদনে তুলে ধরবেন বর্তমান পরিচালনা পরিষদের মেয়াদে বাংলাদেশ দলসহ বিসিবির বিভিন্ন দলের সাফল্য। প্রধান অর্থ কর্মকর্তা তুলে ধরবেন গত তিন অর্থবছরে বোর্ডের আয়-ব্যয়, এফডিআর ও পুঞ্জীভূত তহবিলের যাবতীয় হিসাব-নিকাশ।
মূলত এটি তুলে ধরা হবে প্রধান।নির্বাহীর ১৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন এবং প্রধান অর্থ কর্মকর্তার ৮ পৃষ্ঠার হিসাব বিবরণীতে। প্রতি অর্থবছরে ৮ লাখ টাকার পারিতোষিকে এ. কােশেম এন্ড কোম্পানীর তৈরি করা অডিট রিপোর্ট সাধারণ কাউন্সিলে অনুমোদন করিয়ে নেয়াটাই প্রধান লক্ষ্য বিসিবির।