ক্রীড়া ডেস্ক:
স্পেশালিস্ট লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে শেষ ওভারে বোলিংয়ে এনে নিজের অধিনায়কত্বকে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন মাহমুদউল্লাহ। ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন, ক্রিজে দুই বাঁহাতি ব্যাটার থাকায় বিপ্লবকে বোলিংয়ে আনেননি তিনি।
ব্যাটিং যেমনই হোক, ইনিংসের শুরুতে দারুণ বোলিংয়ে উইকেট দখল করে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা, এবং তারপর লেট মিডল অর্ডারের কাছে অনেক বেশি রান খরচ করে শুরুর ছন্দ হারিয়ে ফেলা- খেলার এমন ধরনটাই বেশ কিছুদিন ধরে দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। আজও সেরকমই হয়েছে। ২৪ রানে ৪ উইকেট ফেলে দেয়ার পর জুটি গড়া ফখর ও খুশদিলের দুটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ জয়ের আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু লেট অর্ডারের মারমুখি ব্যাটিংয়ে জয়ের সেই স্বপ্নও শেষ হয়ে যায় টাইগারদের। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উজ্জীবিত ক্রিকেট উপহার দেয়ার পরও প্রশ্নবিদ্ধ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অধিনায়কত্ব। স্পেশালিস্ট লেগস্পিনার আমিনুল বিপ্লবকে সারা ইনিংস বসিয়ে রেখে একদম শেষে ২০-তম ওভারে সুযোগ দিয়ে দলের মধ্যে সমন্বয়হীনতা আরও স্পষ্ট করে তুললেন তিনি।
যখন ম্যাচে ব্যাকফুটে ছিল পাকিস্তান, তখন লেগস্পিনারের মত আক্রমণাত্মক বোলার কেন অব্যবহৃতই রেখে দিলেন মাহমুদউল্লাহ। আর এর কারণ হিসেবে মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন, তিনি কেবল হেঁটেছিলেন তার চিরাচরিত সূত্র মেনে। এই সূত্রে নিশ্চয়ই লেখা আছে, ম্যাচের পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ক্রিজে বাঁহাতি ব্যাটার থাকলে লেগস্পিনারকে কোনোভাবেই আক্রমণে আনা যাবে না। মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেনও এমনটাই। ম্যাচ পরবর্তী প্রেস কনফারেন্সে আমিনুল বিপ্লবকে ২০-তম ওভারের আগে বোলিং না দেয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিপ্লবকে আক্রমণে আনার পরিকল্পনা আমার ছিল। কিন্তু সে সময় ক্রিজে দুজন বাঁহাতি ব্যাটার থাকায় আর তাকে বোলিং দেইনি। তার জায়গায় আমিই বোলিং করেছি।
সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন লঙ্কান লেগস্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আর তার পরের নামটিই আরেক লেগির, অজি স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে লেগস্পিনারদের প্রয়োজন, ব্যবহার ও কার্যকারিতা বাড়ছে দিনকে দিন। আর এর মাঝেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের পথ থেকে যেন দূরে থাকার পুরনো সিদ্ধান্তেই রয়ে গেল বাংলাদেশ। লেগস্পিনারদের দাপুটে আসরের পর হয়তো নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে একাদশে আমিনুল বিপ্লবকে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু একাদশে নিয়ে যদি কেবল শেষ ওভারেই কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তবে একাদশে রাখা হয়েছিল কেন বিশেষজ্ঞ লেগস্পিনারকে? ভুল সংশোধনের দিনে হচ্ছে আরও নতুন কিছু ভুল। যার ফলাফলে ব্যর্থতার বৃত্তেই আটকে রইলো বাংলাদেশ।
বিএসডি/এসএসএ