বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা হয়েছে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর)। বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। যা নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা।
টাইগার ওপেনারের আকস্মিক দল থেকে বাদ পড়ায় নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, ফিটনেস ইস্যুর কারণেই তামিমকে স্কোয়াডে নেওয়া হয়নি। তাকে নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টও নাকি কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি।
গত কয়েকদিনে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তামিম ইস্যুতে অনেক কথা শোনা গেছে। নানা গুঞ্জনের মধ্যেই এবার তবে কী বোমা ফাটাতে চলেছেন তিনি? ফেসবুকে এক পোস্টে তেমনই ইঙ্গিত করেছেন তামিম।
আজ বেলা পৌনে বারোটার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আজকে বাংলাদেশ জাতীয় দল ভারতের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পর একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আমি সবাইকে বিগত কয়েক দিনের ঘটে যাওয়া ব্যাপারে কিছু কথা বলবো।’ আরও লিখেছেন, ‘গত কয়েক দিন অনেক কথাই গণমাধ্যমগুলোতে এসেছে। আমি মনে করি বাংলাদেশ দলের এবং আমার ভক্ত-সমর্থক সবারই পরিষ্কারভাবে সব কিছু জানার অধিকার রাখে।’
ইনজুরি আর ফিটনেস নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন তামিম। আর তাই বিশ্বকাপের আগে চিরচেনা তামিমকে ফিরে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা ছিল অনেকেরই। কিন্তু তামিম বেশ আত্মপ্রত্যয়ী ছিলেন ফেরার ব্যাপারে। বারবার বলেছিলেন বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে মাঠে ফিরতে চান তিনি। সে লক্ষ্যে ফিটনেসেও জোর দিয়েছিলেন। গেল কয়েক মাসে মিরপুরের অনুশীলনে একটা মুখ প্রায় নিয়মিত দেখা যেত! তামিম ইকবাল খান।।
নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়েই মাঠে ফিরেছিলেন তামিম ইকবাল। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে ব্যাট হাতে শুরুটাও হয়েছিল স্বভাবসুলভ ( দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪৪ রান করেন)। নিজের সততার জায়গা থেকেই হয়তো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের পরই সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল বলেছিলেন, তিনি এখনো পুরোপুরি ফিট নন। ঝুঁকি এড়াতে খেলেননি শেষ ওয়ানডেতেও। এমনকি তিনি যে পুরো ফিট নন, বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের সময়ও নির্বাচকদের এটি বিবেচনায় নিতে বলেছিলেন তামিম।
তামিম নির্বাচকদের জানান, যদি তাকে বিশ্বকাপ দলে নেওয়া হয়, তাহলে এটা মেনে নিয়েই নিতে হবে। দলে থাকলে তিনি তার সর্বোচ্চটা দিয়েই খেলার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন, তবে তার পিঠের সমস্যার কথা গুরুত্ব সহকারে সামনে এনেছেন।
তবে শোনা গেছে, দল ঘোষণার আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় হওয়া এক সভায় অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বোর্ড সভাপতিকে জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে তারা কোনো ‘আনফিট’ বা ‘অর্ধেক ফিট’ ক্রিকেটারকে দলে চান না। এমনকি তিনি যদি হন তামিম ইকবালের মতো অভিজ্ঞ কেউও। সাকিব নাকি এমনও বলেছেন, আনফিট কেউ দলে থাকলে তিনি বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করবেন না।
বিএসডি/এলএম