আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
৭৩ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে ৯ সেপ্টেম্বর কুচকাওয়াচ অনুষ্ঠিত হয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। তবে সাধারণ কুচকাওয়াচের চেয়ে অনেক দিক থেকেই সেটি ছিল ব্যতিক্রম।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে কুচকাওয়াচের আয়োজন খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার। বিশ্বের অনেক দেশেই তা হয়ে থাকে। তবে সেই কুচকাওয়াচ সাধারণ অনুষ্ঠিত হয় স্বাধীনতা দিবসের দিন ভোর কিংবা সকাল বেলায় এবং তাতে সাধারণত অংশ নেন সামরিক, নৌ এবং বিমানবাহিনীর সদস্যরা।
কিন্তু উত্তর কোরিয়ার কুচকাওয়াচ হয়েছে ৯ সেপ্টেম্বর মাঝরাতে এবং তাতে দেশটির সামরিক বাহিনীর নিয়মিত সদস্যরা অংশ নেননি। কুচকাওয়াচ করেছেন দেশটির কৃষক ও শ্রমিকদের নিয়ে গঠিত আধা সামরিক বাহিনী এবং তাদের সবার পরণে ছিল কমলা রঙের বিশেষ সুরক্ষা পোষাক, মুখে গ্যাস মাস্ক।
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন সেই কুচকাওয়াচে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তবে তিনি কোনো বক্তব্য দেননি।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির পত্রিকা রোডং সিনমুন সেই কুচকাওয়াচের ছবি প্রকাশ করেছে। সেসব ছবিতে কমলা রঙের সুরক্ষা পোষাক ও মেডিকেল মাস্ক পরিহিত সারি সারি মানুষের পাশাপাশি কিছু সমরাস্ত্রের ছবিও দেখা গেছে। এসব সমরাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পাল্লার রকেট লাঞ্চার এবং ট্যাংক বিধ্বসী ক্ষেপণাস্ত্র। তবে সেখানে কোনো ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ছবি দেখা যায়নি।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বার্তাসংস্থা কেসিএনএ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, করোনা মহামারি প্রতিরোধে উত্তর কোরিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগ আন্তরিক- এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে এই কুচকাওয়াচের মাধ্যমে।এ বিষয়ে কেসিএনএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘করোনা প্রতিরোধে দেশের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সদা তৎপর এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশ এবং জনগণের নিরাপত্পাশি মহামারিও প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং এটি বিশ্ববাসীকে তা বোঝানোই এই কুচকাওয়াচের উদ্দেশ্য।’
উত্তর কোরিয়ার সরকার বরাবরই দাবি করে আসছে, সেখানে করোনা সংক্রমণ নেই। তবে এই দাবির সত্যতা নিয়ে বিশ্বের প্রায় সব দেশ সন্দিহান।
করোনা সংক্রমণ রুখতে ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশের সবগুলো সীমান্ত অঞ্চল বন্ধ রেখেছে উত্তর কোরিয়া। ফলে, টানা প্রায় দুই বছর ধরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পীড়িত দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য প্রায় তলানিতে ঠেকেছে।
সূত্র : রয়টার্স