আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজায় যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গত তিন সপ্তাহে অন্তত ২৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। নিহত এই সাংবাদিকদের মধ্যে ২৪ জন ফিলিস্তিনের , ৪ জন ইসরায়েলের এবং একজন লেবাননের নাগরিক।
সাংবাদিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা মার্কিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) শনিবার এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে এই তথ্য।
এদিকে, শুক্রবার রাতে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর মুহুর্মুহু গোলা বর্ষণে গাজার ইন্টারনেট ও মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সিপিজে।
বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়, ‘ইন্টারনেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় একদিকে সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না, অন্যদিকে গাজায় সংবাদ সংগ্রহে ব্যস্ত প্রতিনিধিরাও তাদের সংবাদ নিউজ স্টেশনে পাঠাতে সীমাহীন ভোগানিতে পড়েছেন। ফলে, গাজায় হালনাগাদ পরিস্থিতি সম্পর্কিত তথ্য বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছাতে পারছে না।’
ইন্টানেটের গতিবিধি পর্যবেক্ষণকারী লন্ডনভিত্তিক সংস্থা নেটব্লকস জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর গত ২১ দিনের গোলাবর্ষণে গাজা উপত্যকায় সক্রিয় ইন্টারনেট অপারেটিং সংস্থাগুলো আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে; একমাত্র টিকেছিল গাজার বৃহত্তম ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা পালটেল।
কিন্তু শুক্রবারের বোমাবর্ষণে ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাদ যায়নি পালটেলও। নেটব্লকস জানিয়েছে, পালটেলের আন্তর্জাতিক রুটের ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত ইরেজ ক্রসিংয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে কয়েক শ প্রশিক্ষিত হামাস যোদ্ধা। ঢোকার পর সেখানে কয়েকশ বেসামরিক মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২২০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের জিম্মি হিসেবেও ধরে নিয়ে যায় তারা।
এই হামলার জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় বিমান অভিযান পরিচালনা শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী, যা এখনও চলছে। গত ২০ দিনের এই যুদ্ধে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক এবং গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭ হাজার।
সূত্র : সিএনএন
বিএসডি/এমএম