আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আজ শনিবার গাজার জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন কারিনা আরিয়েভসহ চার ইসরায়েলি তরুণী, যারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধাদের হাতে বন্দি হয়ে এতদিন জিম্মি অবস্থায় ছিলেন।
সম্প্রতি ইসরায়েলের সরকার এবং গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্বাক্ষর হয়েছে, তার আওতায় মুক্তি পাচ্ছেন কারিনা আরিয়েভ। ২০ বছর বয়সী এই ইসরায়েলি তরুণীর জন্ম জেরুজালেমে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যখন হামাস যোদ্ধাদের হাতে অপহৃত হন, সে সময় ইসরায়েলের স্থানীয় একটি স্কুলে স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষিকা ছিলেন তিনি।
পরিবারের সদস্যরা ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম ইয়েনেত নিউজকে জানিয়েছেন, কারিনা যে কোনো ধাঁধার সমাধানে ব্যাপক দক্ষ, জটিল সমস্যাকে বেশ চমৎকারভাবে বিশ্লেষন করার ক্ষমতা আছে তার। এছাড়াও কারিনা প্রতিভাবান একজন বংশীবাদক এবং চারটি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন।
শিশুদের খুব ভালোবাসেন কারিনা, মূলত এ কারণেই কিন্ডারগার্টেন স্কুলে স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। এছাড়া ভালোবাসেন রান্না করতে, গান গাইতে, নাচ করতে এবং সৃষ্টিশীল লেখালেখি করতে। সিনেমা দেখতেও ভালোবাসেন, বিশেষ করে ভৌতিক সিনেমা।
৭ অক্টোবর যখন অপহৃত হন কারিনা, তার পরিবারের সদস্যদের আশঙ্কা ছিল যে তিনি বেঁচে আছেন কি না; অপহরণের দু’মাস পর অপর দুই জিম্মি ড্যানিয়েলা গিলবোয়া এবং ডোরোন স্টেইনব্রেচারের সঙ্গে কারিনার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে হামাস। তখন তার পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত হন যে তিনি বেঁচে আছেন।
জিম্মি অবস্থায় মাত্র দু’বার খুবই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন কারিনা। সে সময় তিনি স্বাভাবিক ছিলেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে জানিছেন তার বোন।
ডেইলি মেইলকে কারিনার বোন বলেন, “তাকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল যে আবেগের বশে টেলিফোনে কোনো বেফাঁস কথা বলে ফেললে তাকেসহ মা-বাবা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে মেরে ফেলা হবে। তাই ফোনে কথা বলার সময় সে খুব সতর্ক ছিল।”
শনিবার কারিনার সঙ্গে মুক্তি পাচ্ছেন আরও চার জন তরুণী। তারা হলেন ড্যানিয়েলা গিলোবা (২০), নামা লেভি (২০) এবং লিরি অ্যালবাগ (১৯)।
সূত্র: জেরুজালেম পোস্ট