আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শ্রীলঙ্কা কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়েছে। দেশটি এ অবস্থায় জরুরি নয় এমন গাড়ির ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহ জ্বালানি বিক্রি স্থগিত করেছে।
আগামী দুই সপ্তাহে শুধু বাস, ট্রেন, চিকিৎসা সেবা এবং খাদ্য পরিবহনে ব্যবহৃত যানবাহনে জ্বালানি ভরতে দেওয়া হবে।
শহরাঞ্চলের স্কুলগুলো আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সে দেশের ২২ মিলিয়ন বাসিন্দাকে বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে গতকাল সোমবার সরকারিভাবে বলা হয়েছে, ১০ জুলাই পর্যন্ত ব্যক্তিগত যানবাহনে পেট্রল এবং ডিজেল কেনা নিষিদ্ধ থাকবে।
দেশটির বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় প্রতিদিন নানা প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন নাগরিকরা।
সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, জরুরি পরিষেবা ছাড়া দেশের কোথাও জ্বালানি তেল বিক্রি করা হবে না। সাধারণ মানুষকে যৎসামান্য পেট্রল-ডিজেল কেনার জন্য টোকেন দিচ্ছে সেনাবাহিনী। তেল কিনতে কিলোমিটারের বেশি লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে জনতাকে।
শ্রীলঙ্কার আর্থিক সঙ্কট এতটাই বেহাল যে, বিদেশ থেকে প্রয়োজন অনুসারে জ্বালানি আমদানি করতে অপারগ প্রশাসন। এছাড়া ওষুধ ও খাবার নিয়েও সঙ্কট রয়েছে।
জ্বালানি সঙ্কটের কারণে রাজধানী কলম্বোসহ সে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পেট্রল পাম্পগুলোতে দীর্ঘ সারি দেখা যাচ্ছে। সরবরাহ কম হওয়ায় অশান্তির ঘটনাও ঘটছে। এ পরিস্থিতিতে পেট্রল পাম্পগুলোতে নজরদারির জন্য সেনাবাহিনী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে। রান্নার গ্যাসের অভাবেও বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভের জেরে অশান্তি ঘটেছে।
বিএসডি/ফয়সাল