নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও উৎপাদনমুখী কর্মপরিবেশ বজায় রাখতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল (শিল্প) পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে অংশীদারিত্বমূলক পুলিশিং ব্যবস্থা প্রচলনের লক্ষ্যে এই ইউনিট নিয়মিত কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং ও ‘ওপেন হাউস ডে’সহ নানাবিধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শ্রমিক, মালিক ও অংশীজনদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে শিল্পাঞ্চলে উৎপাদনমুখী ও স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ প্রতিষ্ঠার যুগপূর্তি উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ স্বাধীনতা পদক লাভ করে। মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জীবন উৎসর্গকারী বীর পুলিশ সদস্যদের তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাস ও আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে সরকার ২০১০ সালে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ নামে নতুন একটি ইউনিট সৃষ্টি করে। দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও উৎপাদনমুখী কর্মপরিবেশ বজায় রাখতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে অংশীদারিত্বমূলক পুলিশিং ব্যবস্থা প্রচলনের লক্ষ্যে এই ইউনিট নিয়মিত কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং এবং ওপেন হাউস ডেসহ নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শ্রমিক, মালিক ও অংশীজনদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে শিল্পাঞ্চলে উৎপাদনমুখী ও স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি শিল্প উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার অন্যতম প্রধান নিয়ামক হচ্ছে শিল্পাঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা। তিনি আশা করেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সব সদস্য পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্বপালনের মাধ্যমে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখাসহ জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় অধিকতর অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
বিএসডি/এফএ