নিজস্ব প্রতিবেদক
চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে বন্দর ইয়ার্ডে খালাসের গতি কমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট তৈরি হয়েছে। ৪৯ হাজার কন্টেইনার ধারণ ক্ষমতার বন্দরে এখন ৪৩ হাজারের বেশি কন্টেইনার রয়েছে। জাহাজ থেকে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে আরো সহস্রাধিক কনটেইনার। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বন্দর অভিমুখী কন্টেইনারবাহী জাহাজের আগমনও অব্যাহত আছে।
এ অবস্থায় পণ্যবোঝাই কন্টেইনারসমূহ বন্দর থেকে দ্রুত খালাস করে নিয়ে যেতে আমদানিকারক, স্টেক হোল্ডারদের আহ্বান জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি সব ধরনের পণ্যভর্তি কন্টেইনার বেসরকারি আইসিডিতে নিয়ে খালাসেরও অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, লকডাউনের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের যাবতীয় অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু গার্মেন্টস শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা বন্ধ থাকায় বন্দর থেকে কন্টেইনার খালাসের গতি অনেকটা কম। যেখানে স্বাভাবিক সময়ে বন্দর থেকে দৈনিক ৭০০ থেকে এক হাজার টিইইউস পর্যন্ত কনটেইনার খালাস হয় সেখানে লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে দিনে গড়ে ৮০ থেকে ১০০টি কনটেইনার খালাস হচ্ছে। এর ফলে বন্দরে ইয়ার্ডে কন্টেইনার জট তৈরি হচ্ছে।
- আমাদের আরও খবর জানতে ক্লিক করুন – ১২ দিন পর বাংলাবান্ধা দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
এদিকে বন্দর থেকে কন্টেইনার জট কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সব ধরনের আমদানি পণ্য চালানের কন্টেইনার ১৯টি বেসরকারি আইসিডিতে (ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো) স্থানান্তর এবং সেখান থেকে খালাসের অনুমতি দিয়েছে। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারবেন আমদানিকারকরা।
বন্দর সূত্র জানায়, আগে শুধুমাত্র ৩৭ ধরনের আমদানি পণ্য বেসরকারি আইসিডি থেকে খালাসের অনুমতি ছিল। বন্দর ইয়ার্ড থেকে কনটেইনার জট কমাতে চলতি সপ্তাহ থেকে সব ধরনের পণ্যভর্তি কন্টেইনারই বেসরকারি আইসিডিতে নিয়ে খালাস করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন বন্দর থেকে বেসরকারি আইসিডিতে কন্টেইনার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্দরে কন্টেইনারের ধারণক্ষমতা ৪৯ হাজার টিইইউস। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত বন্দরে কনটেইনার রয়েছে প্রায় ৪৩ টিইইউস। এছাড়া বন্দর জেটিতে থাকা জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাস অব্যাহত আছে।
বন্দরে ৪৯ হাজার কনটেইনার ধারণক্ষমতা থাকলেও এর মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ জায়গা খালি রাখতে হয় কনটেইনার হ্যান্ডলিং-এর জন্য। কিন্তু কন্টেইনার খালাসের গতি কমে যাওয়ায় বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং-এর জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
বিএসডি/এমএম