চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের হালিশহরে একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্ত ‘স্বামীকে’ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে রবিবার গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমরা সিসি টিভি ফুটেজ এবং আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে আসামি আশুলিয়ায় অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে তার অবস্থান শনাক্ত করি। রবিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করি। তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
স্থানীয় ও প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নগরীর হালিশহর থানার আগ্রাবাদ সংযোগ সড়কের একটি আবাসিক হোটেল থেকে নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে কামরুল হাসান পরিচয় দিয়ে আবাসিক হোটেলটিতে একটি কক্ষ ভাড়া নেন খুনি। তবে তার আসল নাম আশারাফুল আলম। তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে কর্মরত আছেন। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ। নিহত ওই নারীর বাড়িও সেনবাগ। বিকেল ৪টা ১৪ মিনিটে আশরাফুল হোটেলের নিচে নামেন। সেখানে একজন নারী তার কাছে আসেন। তাকে তার স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তার ভাড়া নেওয়া কক্ষে নিয়ে যান। সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি হোটেলের কক্ষ থেকে বের হয়ে আগ্রাবাদ সংযোগ সড়ক ধরে চলে যায়। সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কক্ষটি থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দেন হোটেল ব্যবস্থাপক। এরপর পুলিশ এসে বিকল্প চাবি দিয়ে কক্ষ খুলে স্ত্রী পরিচয়ে কক্ষে যাওয়া নারীর রক্তাক্ত গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। এতে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হোটেলটিতে কক্ষ ভাড়া নেওয়ার সময় কামরুল হাসান পরিচয়ে যে এনআইডি দেওয়া হয়েছে সেটি আরেকজনের। মাথায় টুপি ও মুখে মাস্ক লাগানো থাকায় হোটেল ভাড়া নেওয়া তরুণকে শনাক্ত করা যায়নি। স্ত্রী পরিচয় দেওয়ায় হোটেলের নথিতে ওই নারীরও কোনো পরিচয়ও সংরক্ষণ করেনি তারা। ফলে খুনের শিকার নারী অজ্ঞাতই রয়ে যায়। যদিও খুনিকে গ্রেফতারের পর তাদের দুজনের বাড়িই সেনবাগ বলে জানতে পারে পুলিশ।