চট্রগ্রাম ব্যুরোপ্রধান:
চট্টগ্রামের ইিিপজেডে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণার মাধ্যমে মাল্টিপারপাস ব্যবসা খুলে গার্মেন্টস্ সহজ সরল গার্মেন্টস্ শ্রমিকদের অধিক লাভবানের প্রলোভন দেখিয়ে সমিতির আড়ালে চলছিল অনৈতিক কর্মকান্ড।
গার্মেন্টস্ শ্রমিকদের শতকষ্টের অর্জিত অর্থ জমা রেখে সেই অর্থ নিয়ে রূপসা মাল্টিপারপাসের পাঁচ কর্ণধার মালিক পর্চিয়ে এসব গার্মেন্টস্ শ্রমিকদের সাথে তাদের জমানো অর্থ নিয়ে ব্যাপাক তালবাহানার এক পর্যায়ে দুর্ণীতির মাধ্যমে গ্রাহকদের হাজার কোটি টাকা আতসাতের চেষ্টায় লিপ্ত হয় (১) রূপসার চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানরিক্সা কোম্পানী (২) এমডি মো. জাকের হোসাইন (৩) মো. রাসেল হাওলাদার (৪) এজাজ হাওলাদার (৫) মুছা হাওলাদার (৬) পলাশ ও অন্যান্য সহযোগীরা। এ সমস্ত অভিযুক্ত কর্মকর্তারা রূপসা মাল্টিপারপাসের প্রায় দেড় লক্ষ গ্রাহকের হাজার কোটি টাকা নিয়ে চিনিমিনি খেলতে থাকে। গার্মেন্টস্ শ্রমিকদের হাজারো কষ্টের অর্জিত অর্থ দিয়ে এ সমস্ত অভিযুক্ত মালিক পরিচয়ে কর্মকর্তারা গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করে বাড়ী, গাড়ীর ভোগ বিলাসে ব্যস্ত থাকেন। গ্রাহক গার্মেন্টস্ শ্রমিকদের জমানো অর্থ দিয়ে কেউ করেছে বাড়ী, কেউ করেছে গাড়ী, আবার কেউ বা করেছে অধিক বিয়ে। বিশেষ করে সমিতির অর্থ লুটপাট করে এ সমস্ত কর্মকর্তারা চট্টগ্রাম শহরের সিইপিজেড থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন ¯স্থানে নামে বেনামে সম্পদ অর্জন বাড়ী গাড়ী ও দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ব্যাংক একান্টে হাজার কোটি টাকা জমা সমিতি থেকে আত্মসাৎ করে নিজেদের নামে করে নিয়েছে। ইতিমধ্যে এ সমস্ত কর্মকর্তারা অধিকাংশ জায়গা সম্পদ বিক্রয় করে বিদেশে পাড়ী জমানোর পায়ঁতারা চালাচ্ছে বলে গোপন সূত্রে জানা য়ায়। এমনকি উক্ত ৬ কর্মকর্তা মালিক পরিচয়ে পাসপোর্ট তৈরী করে ভিসা লাগানোর অপেক্ষায় রয়েছে।
এরা যে কোন সময় পাসপোর্ট ভিসা প্রসেসিং তৈরী হয়ে গেলে রাতের আধাঁরে দেউলিয়া হয়ে অন্য দেশে পাড়ি জমাবে। গোপন সূত্রে আরো জানা যায় যে, এই অভিযুক্ত মালিক পরিচয়ে এই মুজিবর রহমান দেশের বাড়ী বরিশালে অত্যাধুনিক পাঁচ তারকা আবাসিক ভবন তৈরী করেছেন। যাহা দেশের বাহিরে থেকে নিজের পছন্দ মতো রাজমিস্ত্রি ও টাইলস্ এর বাড়ীর ডিজাইন করেছেন। এক সময়কার যে মুজিবর কোম্পানী নুন আনতে পান্তা ফুরাত চট্টগ্রাম শহরে কেবলমাত্র ব্যবসা শুরু করেছিলেন সেই মুজিবর রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে শতকোটি টাকার মালিক বনে গেছেন, কখনো তিনি মাল্টিপারপাসের চেয়ারম্যান আবারো কখনো সাংবাদিক ও উপদেষ্টা।
জানা যায় যে, ঢাকার একটি পত্রিকা ঢাকা থেকে প্রকাশিত হলেও পত্রিকার সম্পাদক নিজেই জানে না মুজিবর কোম্পানী পত্রিকার উপদেষ্টা ব্যবস্থাপনা সম্পাদক। জানা যায় যে, মুজিবুর কোম্পানীকে আরেক প্রতারক উক্ত পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক পদের দায়িত্ব দিয়ে উক্ত প্রতারক মুজিবুর কোম্পানীর কাছ থেকে বহু সুযোগ সুবিধা হাতিয়ে নিয়েছে। এ ধরণের অসংখ্য অভিযোগ ও গ্রাহকের হাজার কোটি টাকার আত্মসাৎ ডকুমেন্টস্ পত্র হস্তগত হয়েছে। যাহা আগামীতে ধারাবাহিক প্রতিবেদন আকারে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। হাজারো গ্রাহক রূপসা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ও রূপসা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর রক্ষিত আমানতের টাকা ফেরত না দিয়ে পালিয়ে বেড়ানো চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান কোম্পানীকে প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার করেছে ইপিজেড থানা পুলিশ। ভুক্তভোগী শাহ্ আলমের করা মামলায় গত বুধবার দিনগত রাত্রে ১টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই সাঙ্গু নাথ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ইপিজেড থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ভুক্তভোগী শাহ্ আলম এর সাথে বিশ্বাস ভঙ্গ করিয়া প্রতারণা হুমকি ধমকি প্রদর্শন করার কারণে বিগত ২৬/১২/২০২১ ইং তারিখে ধারা : ৪০৬/৪২০/৫০৬ পেনাল কোড রুজু করে ইপিজেড থানায় নিয়মিত মামলা নং ২১ দায়ের হয়। এ ব্যাপারে ইপিজেড থানার সেকেন্ড অফিসার নুরুজ্জামান জানান, এলাকায় জন খ্যাত প্রতারকের সম্রাট মুজিবর রহমান কোম্পানীর বিরুদ্ধে থানার রেকর্ডপত্র ও সিডিএমএস পর্যালোচনা জানা যায়, উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে সিএমপি ইপিজেড থানার এফআইআর নং- ১৬/১৭৯, তারিখ -১৫ আগস্ট ২০২১ ইং ধারাঃ ৪০৬/৪২০/৫০৬ পেনাল কোড, ইপিজেড থানার এফআইআর নং- ১১/২২৩, তারিখ: ৯ অক্টোবর ২০২১ ইং, ধারা :৪০৬/৪২০/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রহিয়াছে এবং তার বিরুদ্ধে সিআর মামলা নং- ৩০০/২১, তারিখঃ ১১/১২/২০২১ ইং, ধারাঃ ৪০৬/৪২০/৫০৬ পেনাল কোড, সিআর মামলা নং- ৩০১/২১, তারিঃ ১২/১২/২০২১ ইং, ধারাঃ ৪০৬/৪২০/৫০৬ পেনাল কোড, সিআর মামলা নং- ৩০২/২১, তারিখঃ ১৩/১২/২০২১ ইং, ধারাঃ ৪০৬/৪২০/৫০৬/১০৯ পেনাল কোড আদালতে মূলতবী রহিয়াছে। রূপসা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ও রূপসা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর চৌধুরী মার্কেট (২য় তলা), ইপিজেড কার্যালয়ে সরেজমিনে গেলে এক ভুক্তভোগী সবিতা রানী শীল বলেন আমি রূপসা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের অতি লোভনীয় অফারে আমার জীবনের সঞ্চিত ৬৩ হাজার টাকা যাহার রশিদ নং- ১২৭৪ ও ১৮৯১৫নং রশিদে ২৮ হাজার টাকাসহ মোট ৯১ হাজার টাকা সঞ্চয় করি। কিন্তু আমার সঞ্চয়ী মেয়াদ পরিপূর্ণ হওয়ার পরও রূপসা কর্মকর্তা আমাকে আজ দেব কাল দিব বলিয়া কালক্ষেপন করিতেছেন এবং হুমকি ধমকি প্রর্দশন করিতেছেন। আমার মত হাজারো গ্রাহকের আমানতি টাকা গুলি পাওয়া অনিশ্চিত প্রায়।
অন্যদিকে, চট্টগ্রামে ইপিজেড থানা এলাকার চৌধুরী মার্কেটে রূপসা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন মাল্টিপারপাস কোমপানি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে মিললো তিন বস্তা টাকা। যেখানে রয়েছে ৮ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এসব টাকা উদ্ধার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের একটি বিশেষ দল।
ইপিজেডের বিভিন্ন কলকরাখানার শ্রমিকদের লোভ দেখিয়ে ৭-৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রূপসা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন মাল্টিপারপাস কোম্পানী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন অভিযোগ জমা হওয়ার পর তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. নুর“ল হুদা জানান ।
বিএসডি/ জীবন কৃষ্ণ দেবনাথ/আইপি