বিশেষ প্রতিবেদক,
রাজধানীর আইন-শৃংখলা বাহিনীর চেকপোস্টে নানা অজুহাতে বের হচ্ছেন সাধারন মানুষ। ডাক্তার দেখানো, শিশু খাদ্য ও নিত্য বাজার করার কথা বলে চেকপোস্ট পার হয়ে যাচ্ছেন। চেকপোস্টে দায়িত্বরত ট্রাফিক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানান, নানা অজুহাতে মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন। এ সড়কে অধিকাংশই গার্মেন্টস অফিসের পরিচয় দিয়ে যেতে চাইছেন। অনেকেই ঠুনকো অজুহাত দাঁড় করিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
গত বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউনের (বিধিনিষেধ) তৃতীয় দিন শনিবার সকালে সড়কে যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ি গোলচক্কওে কাঁচাবাজার করতে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছেন একজন। চেকপোস্টে পুলিশ কারণ জিজ্ঞাসা করতে বললেন, একটু বাজার করতে গিয়েছিলাম। উত্তরে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য বলেন, বাসার আশপাশে তো অনেক বাজার রয়েছে। তাছাড়া ভ্যানগাড়িতেও বাজার করা যায়। অনেকটাই অপ্রস্তুত হয়ে যাওয়া এ মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, আছে, ভাবলাম এদিক থেকে বাজার নিয়ে যাই। যাব সামনেই। খুব বেশি দূরে যাব না।
সরেজমিনে দেখা যায়, এ সড়কে এমন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে পুলিশ চেকপোস্ট পার হতে চাইছে অনেকেই। অনেকেই কার্ড দেখিয়ে টিকা নিতে যাচ্ছেন বলে জানান। কেউবা জরুরি সেবার কথা বলে পার পাওয়ার চেষ্টা করছেন। অবশ্য সবার যুক্তি টিকছেও না। পুলিশ সদস্যরা অধিকাংশ গাড়িই ঘুরিয়ে দিচ্ছেন। কেবল উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে ও বলতে পারলেই চেকপোস্ট পার হয়ে যাওয়ার সুযোগ মিলছে যাত্রীদের।
গাবতলির একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মানুষের অজুহাতের যেন শেষ নেই। অধিকাংশই ভুয়া অজুহাত দিচ্ছেন আমরা কিন্তু তা বুঝতে পারছি। ফলে তাদের গাড়িও ঘুরিয়ে দিচ্ছি। অফিস-আদালত বন্ধ থাকার ঘোষণা রয়েছে, এরপরও অনেকেই এই অফিসের দোহাই দিচ্ছেন। আসলে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
মালিবাগে হাবিব নামে এক ব্যবসায়ী জানান, তার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকার রয়েছে। পুরান ঢাকায় পরিচিত এক দোকান মালিকের কাছে যাচ্ছেন কিছু মাল কিনতে। কিন্ত মালিবাগ মোড়ে পুলিশ গাড়ি থামিয়ে ফিরে যেতে বলেছে। এ জন্য তিনি ফিরে যাচ্ছেন।
বিএসডি/কাইয়ুম/সাজ্জাদ