নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিমের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন।
সোমবার বিকেলে টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী নগর ভবনে এ সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে চসিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন (এলআইইউপিসি) প্রকল্পের অধীনে জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পরে চসিক মেয়রকে নিয়ে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মিলিত হন।
এ সময় ব্রিটিশ হাইকমিশনার রর্বাট চ্যাটার্টন বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে চলমান কর্মসূচির বাস্তবায়ন দেখে আনন্দিত। জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণে কমিউনিটি ও স্থানীয় সরকারের একসঙ্গে কাজ করা অন্যদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। সারা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবের বিষয়টি বাংলাদেশও এড়িয়ে যেতে পারে না। তাই এ ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন সময়োপযোগী পদক্ষেপ। বাংলাদেশ সরকার এবং ইউএনডিপি একসাথে কাজ করায় যুক্তরাজ্য সরকারও গর্বিত। ব্রিটিশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর সময় শেষ হয়ে গেলেও পরবর্তিতে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে মেয়রের প্রতি আহ্বান জানান।
চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে এলআইইউপিসি’র উদ্যোগে নগরীতে জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামোগত উন্নয়নে যে প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত হচ্ছে তাতে আমি খুশি। এসব প্রকল্পে চসিকের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। মেয়াদকাল শেষ হলেও এধরনের জনবান্ধব প্রকল্প সমূহ চলমান থাকবে। ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতায় ইউএনডিপির মাধ্যমে বাস্তবায়িত এই প্রকল্পে চসিক নিজস্ব তহবিল থেকেও ১০ শতাংশ ব্যয় করেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রকল্পের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) মো. মাসুম পাটওয়ারী, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, ক্লাইমেট চেইঞ্জ টিম লিডার জন ওয়ার বার্টন, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফারজানা মুস্তাফা, প্রকল্প ব্যবস্থাপক য্যুগেশ প্রাধানাং ও টাউন ম্যানেজার মো. সরোয়ার হোসেন খান।
বিএসডি/ এলএল