নিজস্ব প্রতিবেদক:
জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের করা আপিল শুনানি বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শুনানির জন্য এদিন নির্ধারণ করেন। আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।
সকালে চিত্রনায়িকা নিপুণের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান এ আপিল আবেদন করেন। তখন তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা আপিল বিভাগে আবেদন করেছি। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আজ এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চিত্রনায়িকা নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচনি আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত সোমবার স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আজ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন নিপুণ।
এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি চিত্রনায়িকা নিপুণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেন নির্বাচনি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান চিত্রপরিচালক সোহানুর রহমান সোহান ও সদস্য প্রযোজক মোহাম্মদ হোসেন।
একই দিন আর কোনো প্রার্থী না থাকায় নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন তারা। আপিল বোর্ডের এ সিদ্ধান্ত অবৈধ দাবি করে আদালতে রিট আবেদন করেন জায়েদ খান। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদক পদ বাতিল করে আপিল বোর্ডের নেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের এমন আদেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে জায়েদ খান বলেন, ‘আমি আমার অধিকার ফিরে পেয়েছি। শিল্পীরা আমাকে ভালোবেসে তাদের সেবা করার জন্য ভোট দিয়েছে। আমি ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। একজন নির্বাচিত ব্যক্তিকে গায়ের জোরে সরিয়ে দিয়ে চেয়ারে বসে গেলেই তো হবে না! বাধ্য হয়ে আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। তারা অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হয়েছে। আমি জানি, এই ষড়যন্ত্র এখানেই শেষ হবে না। নির্বাচনের আগে থেকেই এসব করে আসছে তারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিল্পীদের প্রত্যক্ষ ভোটে সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরও আমার সঙ্গে অন্যায়-অবিচার করা হয়েছে। সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ী অকার্যকর হয়ে যাওয়া আপিল বোর্ডের নামে দুজন ব্যক্তি অবৈধভাবে আরেকজনকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে দিয়েছেন। এগুলো সব আগে থেকেই সাজানো। তবে একটা কথা আমি বিশ্বাস করি, সব সময় সত্যের জয় হয়। আমি জানি আমি কোনো অন্যায় করিনি। আমি হাইকোর্টে বিচার পেয়েছি।’
গত ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২৯ জানুয়ারি ভোররাতে ফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলে সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন জয়লাভ করেন। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হন জায়েদ খান। একই পদে চিত্রনায়িকা নিপুণ হেরে যান ১৩ ভোটে।