নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বিস্তৃত সম্ভাবনা কাজে লাগানোর এখনই উপযুক্ত সময়।
গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে চায়নিজ এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-সিইএবির সপ্তম সম্মেলনের উদ্বোধনী আয়োজনে এসব কথা বলেন তিনি। এই সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
মহামারি পরবর্তী সময়ে দুই দেশের অর্থ, বাণিজ্য ও সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচনে তিন দফা পরামর্শও দেন এই কর্মকর্তা।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনা চতুর্দশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি বাজার বিস্তৃত করার যে যুগপৎ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে তাতে মুক্ত বাণিজ্যের এক বিরাট সুযোগ রয়েছে।
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রসঙ্গে কথা বলতি গিয়ে তিনি বলেন, বিআরআই উদ্যোগে স্বাক্ষরকারী দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে এরই মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি চালু হয়েছে। উৎপাদন শিল্পে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে চীন যে সবুজ উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ও চীনের বাণিজ্যিক সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মুক্ত হতে পারে।
‘ব্যবসায়ের জন্য উপযুক্ত পরিবেশে চীন বিশ্বের ১০ দেশের একটি দেশ’ বিশ্বব্যাংকের এ স্বীকৃতির কথা তুলে ধরেন চীনা রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, দু দেশের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে পারস্পারিক বিশ্বাস ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে বিডা, বেপজা ও বেজার মতো সরকারি সংস্থাগুলো উপযুক্ত আইন ও নীতিমালা করে চীনা বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেবেন বলে উল্লেখ করেন লি জিমিং।
খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে জি টু জি ও পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ চালু করার জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
বিএসডি/আইপি