নিজস্ব প্রতিবেদক,
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামে স্বামীর নির্যাতনে নাজমা খাতুন (৩২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) মধ্য রাতে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটি প্রথমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও বুধবার (৪ আগস্ট) সকালে পুলিশের জেরায় মুখ খুলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
এ ঘটনার পর বেলা ১১টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাজমার স্বামী শিপন আলীকে আটক করে। নিহত নাজমা খাতুন হাজরাহাটি গ্রামের হাজিপাড়ার শিপন আলীর স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে শিপন আলী তার স্ত্রী নাজমাকে নির্যাতন করে আসছিল। কয়েক দিন আগেও নাজমাকে বেধড়ক মারপিট করে শিপন। এতে নাজমার অবস্থা অবনতি হলে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, নাজমা খাতুনের স্বামীর বাড়ির লোকজন বিষয়টি গোপন রেখে মরদেহ বাড়িতে নেওয়ার চেষ্টা করে। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত নাজমা খাতুনের শরীরে মারধরের আলামত দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশের জেরার মুখে মারধরের কথা স্বীকার করে তারা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উঠান থেকে পড়ে গেছে বলে নাজমা খাতুনকে ভর্তি করে তার স্বামী শিপন আলী। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে সন্দেহ হলে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পরে রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, স্বামী শিপন আলীর নির্যাতনে স্ত্রী নাজমা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে তারা বিষয়টি অস্বীকার করলেও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে নাজমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিএসডি/আইপি