মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে থমকে আছে পুরো পৃথিবী। যার ফলে প্রায় দেড় বছর যাবৎ বিশ্বজুড়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। যা থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশও। এই প্রতিকূল সময়ে আবারও এসেছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ইদুল আজহা। আত্মত্যাগ, সেবা, দান এবং মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটানো এই পবিত্র ইদ সবার মাঝেই আনন্দের জোয়ার বয়ে নিয়ে আসে। কিন্তু এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে প্রায় সবার মধ্যেই ইদ আনন্দের ভাটা পড়েছে। যার প্রভাব পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ইদ আনন্দেও। ইদকে ঘিরে নানা আয়োজন ও পরিকল্পনা সীমিত হয়ে গেছে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায়। করোনাকালে নানাভানে ইদকে উদযাপন করবে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। এবারের ইদুল আজহা উদযাপন নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও মতামত তুলে ধরেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ইউছুব ওসমান।
ইদে আনন্দের সাথে সাবধানতা অবলম্বন করাও জরুরী-আনন্যামা নাসুহা , উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ
শান্তি, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধের ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ইদ-উল-আযহা।
করোনকালের এই অবরুদ্ধ নিষ্ক্রিয়তায় চতুর্থ ইদ পালন করতে চলেছি আমরা।
যেখানে ইদ মানেই আনন্দ সেখানে করোনার জন্য প্রিয়জনের মুখ দেখতে পাওয়াই যেন হয়ে উঠেছে দুঃসাধ্য।
দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রবেশ করোনা পরিস্থিতিকে অত্যন্ত শোচনীয় একটি পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে।
এই শিথিল লকডাউন ইদ পূর্ববর্তী ঘরে ফেরার কোন আনন্দ নয়।বরং করোনা বৃদ্ধির সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেওয়া।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সাবধানতা অবলম্বনের বিকল্প নেই, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমে পরিবার এবং আশেপাশের সকলের সুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে।
আবেগের বশে নিজেদের অসচেতনতায় আনন্দ উৎসবে প্রিয়জনকে হারিয়ে যেন কারো জীবন বিবর্ন না হয়।গরিবের হক আদায়,আত্নীয়তা রক্ষা এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে ইদ হোক পরিপূর্ণ।
পাশাপাশি কোরবানির স্থান এবং আশেপাশে পরিষ্কার রেখে নগরীকে পরিষ্কার রাখাও আমাদের কর্তব্য।
আসুন সবাই কোরবানির ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে নিজেদের সকল ধ্বংসাত্মক মানব দোষ সমূহ (ক্রোধ,ক্ষোভ,ঘৃণা,হিংসা) হতে বিরত থাকি।
ইদ হোক মানবতার, সচেতনতার –অনন্য প্রতীক রাউত ,আইন বিভাগ
সময়ের পরিক্রমায় দুয়ারে কড়া নাড়ছে পবিত্র ইদ-উল-আজহা।
মনের পশুত্বকে ধ্বংস করে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানোই যার মূল উদ্দেশ্য।
সুন্দর পৃথিবীতে পবিত্র হবার বা নতুনত্বে জীবন বদলানোর প্রয়াস থেকে ইদ উদযাপিত হয়ে আসছে। করোনা মহামারীর জন্য বিগত দু’বছর যাবত বাস্তবতা বদলে গেছে। স্বাস্থ্যবিধির মতো নিত্যনতুন আইডিয়া যোগ হচ্ছে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে। বক্ষের মিলন বা হাতের ছোঁয়ায় ঐক্য গড়া না গেলেও মনস্তাত্ত্বিক মিলন হতেই পারে৷ অপরের প্রতি সহমর্মিতা সুলভ মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে সমৃদ্ধ এক মানসিক ঐক্যর৷ স্বাস্থ্যবিধির খুঁটিনাটি নিয়ম মেনে অবশ্যই দাঁড়ানো যেতে পারে পাশের বাড়ির খেতে না পারা বা সাময়িক দূরাবস্থায় আক্রান্ত প্রতিবেশীর পাশে। মনে রাখবে হবে- আমাদের দূরে থাকতে বলা হয়েছে (শারীরিকভাবে), দূরে সরে যেতে বলা হয় নি (মানসিকভাবে)। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে দৃশ্যপট পৃথিবীতে বরাবরই বদলায়। বদলে যাওয়া দৃশ্যপটের সাথে নিজেকে বদলে নেয়াটাই হবে সময়ের সেরা সিদ্ধান্ত। এভাবেই সৃষ্টি হোক সচেতনতা, অটুট থাকুক মানুষ হিসেবে মানবিকতা। পৃথিবী হোক সুস্থ, সুন্দর। ইদের শুভেচ্ছা ও অবিরাম
অভিনন্দন ।
ত্যাগের উৎসব ঈদুল আজহা-সিদরাতুল মুনতাহা , সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
বছরের ২টি ঈদের মধ্যে একটি হলো ঈদুল আজহা, যা মুসলমানদের ত্যাগের উৎসব।
চলতি ভাষায় এই ঈদকে কোরবানির ঈদ ও বলা হয়। এই ঈদে সকল মুসলমান তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আল্লাহর নামে কুরবানি করে থাকে এবং সেই কোরবানির মাংস সকলের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। বছর ঘুরে আবার মুসলমানদের এই ত্যাগের উৎসব আসতে চলেছে। করোনা ভাইরাসের কারণে গতবছরের মতো এবার ও ভিন্ন এক বাস্তবতায় উদযাপন হবে ঈদুল আজহা। এবার ও কোরবানির আয়োজন সীমিত। এছাড়া প্রচলিত রীতি অনুযায়ী ঈদে আত্নীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া থেকে শুরু করে সকল আনন্দ যেন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপন করতে হবে সকলকে আর আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে যাতে এই ত্যাগের উৎসবের মধ্য দিয়ে আল্লাহ এই করোনা ভাইরাস থেকে সমগ্র পৃথিবীকে মুক্ত করেন।
সচেতনতার মাধ্যমে ইদের আনন্দ উপভোগ –রিদুয়ান ইসলাম ,বাংলা বিভাগ
সবার সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার মাধ্যম ইদ আবার সবার মাঝে চলে এসেছে৷ প্রতিটি ইদকে কেন্দ্র করে সবার মাঝেই অনেক জল্পনা কল্পনার অন্তি থাকে না৷ কিন্তু বিগত দুই বছর ধরে বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে ইদের আনন্দটুকু ম্লান হয়ে গেছে৷ বিশ্ববাসী উপভোগ করতে পারছে না তার প্রকৃত আনন্দ। বিশ্বের এমন সংকটময় মুহূর্তে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে এক বিশেষ অভিজ্ঞতা অর্জন করা হচ্ছে। এবারের ইদুল-আযহা আমরা বর্ণিল ভাবে পালন করতে না পারলেও নিজেদের পারস্পরিকতার মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পালন করবো। অন্যান্য ইদের মত ঘুরতে বাহিরে না গিয়ে করোনাকালীন এবারের ইদ টা নাহয় বাসাতেই কাটাবো৷ করোনাকালীন এই ইদে সকলের প্রতি আহবান থাকবে, আমরা সবাই ব্যক্তি কেন্দ্রীকভাবে সচেতন হই, অযথা বাহিরে ঘুরাঘুরি না করি, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।
করোনাকালীন ঘরকুনো ঈদ-সানজিদা মাহমুদ মিষ্টি,শিক্ষাও গবেষনা ইনস্টিটিউট
করোনাকালীন সময়ে আবারো আগমন হতে চলেছে ঈদুল আজহার। ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই উৎসব। মহা ধুমধামে প্রিয়জনের সাথে থেকে নানা ধরনের আনন্দ আয়োজন উপভোগ করার মানেই হচ্ছে ঈদ। নানা ধরনের মিষ্টান্ন আর বিশেষ করে ঈদুল আযাহার কোরবানীকৃত গরুর মাংস খাওয়ার মাধ্যমেই যেন এই ঈদের আনন্দ আয়োজন আরো বহুগুণে বেড়ে যায়। সকাল থেকে বাড়ির সকল নারী সদস্যরা নানা ধরনের পায়েস, সেমাই ইত্যাদি মিষ্টান্ন বানাতে ব্যস্ত হয়ে পরে। আর বাড়ির পুরুষেরা ঈদের নামাজ শেষে পূর্বের ক্রয়কৃত গরু, দুম্বা, উট বা ছাগল কে কুরবানী করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। গ্রামাঞ্চলে সাধারণত দেখা যায় যে সকলে মিলে একত্রে কুরবানির মাংস কাটায় অংশগ্রহন করে থাকে। মাংস কাটার পর সেই মাংসের একটা অংশ গ্রামের দুঃখী গরিব মানুষকে বিলিয়ে দেওয়া হয়, আবার কিছু অংশ নিজের আত্নীয় স্বজনদেরকে দেওয়া হয়। মূলত মাংস বিলানো বা নানা স্বাদের জাতীয় খাবার গ্রহণ সবকিছু মিলিয়েই আসলে গ্রামের ঈদের মধ্যে আনন্দের ভাগটা শতকরার হিসাবে যেন একটু বেশিই এগিয়ে থাকে।
পক্ষান্তরে আমরা যদি শহরাঞ্চলের ঈদের দিকে তাকাই তাহলে আমরা দেখতে পাই যে গ্রামের তুলনায় শহরাঞ্চলের ঈদের দিনটা একটু বেশি বর্ণহীন, মলিন আর ফ্যাকাশেময় হয়ে থাকে। এই শহর অঞ্চলের ঈদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ঘর কোনে আবদ্ধ হয়ে ঈদ উদযাপন করা। হয়তো কিছু পরিবার অন্য ঈদে তাও তাদের শিশুদের কে নিয়ে একটু বিনোদনের জন্য শিশুপার্ক বা চিড়িয়াখানায় ঘুরতে নিয়ে যায়। কিন্তুু বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে যেহেতু করোনা ভাইরাস আমাদের পুরো বিশ্বের মধ্যে মহামারী আকার ধারণ করেছে, তাই আমাদের দেশেও মানুষ এখন কোন ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠানে বাসা থেকে বপর হয়ে কোন জনসমাগমপূর্ন স্থানে একত্রে সমবেত হয় না। তার মানে বোঝাই যাচ্ছে যে কতোটা মলিন আর বর্নহীন ঈদ উৎযাপন করেছেন শহরবাসীরা। তারই ধারাবহিকতায় এবারের আসন্ন ঈদ ও যে ঠিক কতোটা আনন্দের হবে আমাদের মতো শহরবাসীদের জন্য তা উপলব্ধির আর কোন অবকাশ রাখে না। অনেকেই হয়তো বছরের পর বছর নিজের শিকড় গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ঈদ উদযাপন করে থাকেন কিন্তুু শুধু বর্তমান করোনাকালীন লকডাউন এর অবস্থা বিবেচনা সাপেক্ষে এবার আর হয়তো গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন না, ফলে দীর্ঘদিনের এই অভ্যাস ভঙ্গের কারনে অনেকেই হয়তো মানসিক ভাবেও মনোকষ্টে ভুগবেন। কিন্তুু এটি আসলে আমাদের কারোর ই কাম্য নয়, কারন ঈদ মানেই হলো আনন্দ আয়োজন, হাসি খুশিতে মেতে থাকা। আর সেখানে যদি কেউ গ্রামে যেতে না পেরে শহরের বদ্ধ পরিবেশের একটি কোনায় বসেই, সারাদিন হয়তো নেট আর সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্টিভ থেকে ঈদের অভিবাদন জানিয়েই ঈদের দিনটিকে অতিবাহিত করে দিনশেষে দুঃখের সাগরে ভেসে বেড়ায় তাহলে তো আর সেটা আনন্দঘন কোন ঈদ উদযাপন করা হবে না।
সেইটা অবশ্যই মলিন আর বর্নহীন একটা ঈদ হিসাবেই স্মৃতির পাতায় জমা থাকবে।
ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত ঈদ-অনুপম মল্লিক আদিত্য,
বছরে দুইবার ঈদ আসে। তার মধ্যে ঈদুল আজহা অন্যতম।
স্রস্টার কাছে নিজের সমস্ত ত্যাগ সমর্পণের দিন এটি।
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়ার দিন ঈদুল আজহা।
ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হলেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য। একটি পশুকে বছরের পর বছর লালন-পালন করতে যেয়ে অনেক আবেগ ভালোবাসার অংশীদার হয়ে যায়। পরিবারের সাথে তার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে পড়ে। আর অনেকসময়তো সন্তানতুল্য। সেই পশুকে কুরবানির মধ্য দিয়ে যে ত্যাগ স্বীকার করা হয় কিংবা নিজের ভিতরের ভিতরের পশুটাকে কুরবানি করে সৃষ্টিকর্তার রাস্তায় কুরবানির মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করার মহিমা অনেক। সর্বোপরি, করোনাকালে সচেতনতার সাথে সবাই মিলে ইদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার প্রয়াস থাকবে সবার মধ্যে এটাই প্রত্যাশা।
ঈদ আনন্দে সতর্কতা-সাবিনা আক্তার মুন্নি,সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
ঈদুল আযহা মানে ত্যাগের উৎসব। ঈদ মানেই আনন্দ কোলাকোলি, ঘুরাফেরা, সালাম আর উৎসব। তবে এ ঈদে এগুলোর কোনোটিই থাকছে না। কিছু থাকলেও খুবই সীমিত আকারে। সবকিছুর বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস।
গত তিনটা ঈদ এই করোনাকালেই পালিত হয়ে আসছে। তবে কুরবানির ঈদে অন্যরকম সচেতনতার সাথে পালন করতে হবে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এই দুই বছর যাবত সতর্কতার সাথে ঈদ পালিত হচ্ছে। কুরবানির পশু কেনার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তেমনিভাবে কুরবানি দেওয়ার পরে কুরবানির বর্জ্য নির্দিষ্ট কোনো একটা জায়গায় ফেলতে হবে। তা না হলে এসব বর্জ্যের ফলে রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে। নিজ নিজ দায়িত্বে সবাইকে কুরবানির বর্জ্য পরিষ্কারে সচেষ্ট হতে হবে। এছাড়া কুরবানির পশুর চামড়া জাতীয় সম্পদ। সাবধানতার সাথে কুরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ করতে হবে। এবার ঈদে আমরা তেমন মহা আনন্দ চাই না। চাই নিজেদের সুস্থ ও নিরাপদ থাকা। আর এ সুস্থতা ও নিরাপদ থাকায় আমাদের এবারের ঈদ আনন্দ। আঁধার কেটে যে ভোর আসবে সে প্রত্যাশিত দিনের দর্শক হবো আমরা সকলে। আনন্দে সেদিন ভরে উঠবে পৃথিবী।
ত্যাগের মহিমায় ত্যাগ করি ইদের ঘুরাঘুরি –মোঃ মেহেদী হাসান, গণিত বিভাগ
ঈদের আনন্দ একা একা উপভোগ করা যায় না, সবাই মিলে ভাগাভাগি করে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে হয়।
পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে মাংস বাড়িতে বাড়িতে বিলিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ঈদ আনন্দ পাওয়া যায়। ফজরের নামাজের মাধ্যমে ইদের দিনটি শুরু হয়ে শেষ হয় মাংস বিলানোর মাধ্যমে। মাঝে থাকে ইদের নামাজ, কোরবানি এবং মাংস কাটা। অনভিজ্ঞ হাতে মাংস কাটার মজাও যেমন আছে তেমনি হাত কেটে যাোয়ারও ভয় থাকে। তবুও ভয়কে উপেক্ষা করে বাড়ির বড়দের সাথে মাংস কাটার অনুভূতিটাই অন্যরকম। বিকেলে শুরু হয় বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি। বাড়ির কাছের নদী, ফরেস্ট কিংবা দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভিড় জমে। জমে উঠে আড্ডা। হয়তো নদী, ফরেস্ট গুলোও এইদিনটির অপেক্ষা করে। অন্যান্য সময় জনশূণ্য এই স্থানগুলো হয়তো অপেক্ষা করে জনমানুষের। কিন্তু বর্তমান করোনা নামক ভয়াল থাবার কারনে স্থানগুলোর পরিপূর্ণতা এখনও পাচ্ছে না। কোরবানি ইদ ত্যাগ করতে শেখায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ঘুরে বেড়ানোটাই ত্যাগ করতে হবে বলে মন খারাপ হতেই পারে। তাই আসুন এই পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য খোদার কাছে প্রার্থনা করি। সবাইকে ইদের শুভেচ্ছা।