বর্তমানে বাংলাদেশে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা এরজন্য দায়ী করছেন জলবায়ুর পরিবর্তনকে। তারা বলছেন, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং বর্ধিত বর্ষা মৌসুম ভাইরাসজনিত রোগের বাহক এডিস মশার জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করছে।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ হাজার ৪০০ জন। সরকারি তথ্যমতে যা ২০২২ সালের চেয়ে পাঁচগুনেরও বেশি। এছাড়া ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। দিন দিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের হিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল গুলোও।
চলতি বছর চিকিৎসকরা এই রোগের অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখতে পেয়েছেন। অনেকের মধ্যে এই রোগের কোনো ধরনের উপসর্গও দেখা যায়নি। যা এই রোগ নির্ণয়ে জটিলতা সৃষ্টি করেছে। হাসপাতাগুলোতে চিকিৎসকরা নির্দিষ্ট ভ্যাকসিন বা ঔষধ ছাড়াই এই রোগ মোকাবেলা করছে। এছাড়া সরবরাহ ঘাটতি রয়েছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটবিজ্ঞানী ও প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক কবিরুল বাশার। তিনি তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন মশা নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং অন্যান্য উপাদানের ধরণ পরিবর্তন হচ্ছে। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে আমরা বর্ষার মতো বৃষ্টি দেখতে পাচ্ছি যা অস্বাভাবিক। এই ঋতু পরিবর্তন এডিস মশার প্রজননের জন্য আদর্শ পরিস্থিতি তৈরি করছে। এডিস মশা এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। এছাড়াও, আটকে থাকা বৃষ্টির পানি এডিস মশার ডিম পাড়তে এবং এর ঘনত্ব বাড়াতে পারফেক্ট স্পট তৈরি করে।’
যেহেতু কতৃপক্ষ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ এবং এর নির্দিষ্ট চিকিৎসার জন্য ঝাপিয়ে পরেছে, সেহেতু কবিরুল বাশাও মশার উপর তার গবেষনা আরও জোরদার করেছেন। তিনি পরামর্শ দেন, কীভাবে রোগটি ছড়িয়ে পরছে তার উপর নজরদারি করে নিবিড় পরিক্ষা করতে। আর এই পক্রিয়া বাংলাদেশে সারাবছর চলমান রাখা প্রয়োজন।
সূত্র: রয়টার্স
বিএসডি/ এফ এ