আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করছে এমন ৭০ জনের বেশি চালক ও অন্য অন্তত ১৬ জন কর্মীকে আটক করেছে ইথিওপিয়ার আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। জাতিগত টাইগ্রেদের বিরুদ্ধে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর ব্যাপক ধর-পাকড় অভিযানের মাঝে জাতিসংঘের ওই কর্মীদের আটক করা হয়েছে বলে বুধবার সংস্থাটির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের অভ্যন্তরীণ এক ই-মেইলে সংস্থাটির ৭০ জন চালককে আটকের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে এই চালকরা কোন জাতিগোষ্ঠীর তা পরিষ্কার নয়।
এর আগে, রোববার রাষ্ট্র-নিযুক্ত ইথিওপীয় মানবাধিকার কমিশন বলেছে, তারা রাজধানীতে টাইগ্রে জনগোষ্ঠীর সদস্যদের গ্রেফতারের অনেক রিপোর্ট পেয়েছে। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য জানতে চাইলে ইথিওপিয়ার সরকারের মুখপাত্র লিগেসে তুলু এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দিনা মুফতি সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফানে ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেছেন, কর্মীদের তাৎক্ষণিক মুক্তি নিশ্চিতে আমরা ইথিওপিয়ার সরকারের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। তবে যাদের আটক করা হয়েছে তারা কোন জাতিগোষ্ঠীর সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তা এড়িয়ে যান তিনি।
জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, তারা জাতিসংঘের কর্মী-সদস্য, তারা ইথিওপীয়… তাদের পরিচয়পত্রে যে জাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হোক না কেন, আমরা তাদের মুক্ত দেখতে চাই। ইথিওপিয়ার সরকারের মুখপাত্র লিগেসে তুলু বলেছেন, যাদের আটক করা হয়েছে তারা ইথিওপীয়; যারা আইন লঙ্ঘন করেছেন।
গত কয়েক বছর ধরে ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটি উত্তরাঞ্চলের বিদ্রোহী গোষ্ঠী টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) সংঘাত চলছে। দেশটির বিদ্রোহী এই গোষ্ঠী সম্প্রতি দেশটির রাজধানী অভিমুখে যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পর এই সংঘাত চরম আকার ধারণ করেছে।
টিপিএলএফের সদস্যদের রাজধানী আদ্দিস আবাবা দখলের হুমকির পর গত ২ নভেম্বর দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। একই সঙ্গে আদালতের আদেশ ছাড়াই টিপিএলএফের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে কাউকে গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে অনুমতি দেওয়া হয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে টিপিএলএফকে দেশটির পার্লামেন্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা দেয়।
সূত্র: রয়টার্স।