নিজস্ব প্রতিবেদক
জাপানে মডার্নার করোনা টিকায় ফের দূষণ শনাক্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এই করোনা টিকার মধ্যে এবার পাওয়া গেছে ক্ষুদ্র ও কালো পদার্থ। রোববার (২৯ আগস্ট) জাপানের রাজধানী টোকিওর কাছে গুনমা এলাকায় এই দূষণ শনাক্ত করা হয়। সোমবার (৩০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
টোকিওর পার্শ্ববর্তী গুনমা এলাকার এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি মডার্নার করোনা টিকার শিশিতে একটি ক্ষুদ্র ও কালো পদার্থ খুঁজে পাওয়া গেছে। এরপরই যে লট থেকে শিশিটি সংগ্রহ করা হয়েছিল সেই লটে থাকা মডার্নার সকল টিকার প্রয়োগ গুনমা এলাকায় স্থগিত করা হয়েছে।
গত শনিবার জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায় যে, মডার্নার করোনা টিকা নেওয়ার পর দেশটিতে সম্প্রতি দু’জন মারা গেছেন। মৃত ওই দুই ব্যক্তি যে লট থেকে টিকা নিয়েছিলেন পরে সেগুলো পরীক্ষা করে দূষিত বলে শনাক্ত করা হয়। এরপরই দেশের অনেক এলাকায় মডার্নার টিকা প্রয়োগ স্থগিত করা হয়।
জাপান সরকার এর আগে জানিয়েছিল যে, মডার্নার টিকার নিরাপত্তা বা কার্যকারিতা নিয়ে নেতিবাচক কিছু এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পূর্ব সতর্কতার অংশ হিসেবে টিকাদান স্থগিত রাখা হয়েছে। এছাড়া টিকা নেওয়ার পর মারা যাওয়া ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যুর কারণও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
টিকায় দূষিত উপাদান পাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার জাপানের ৮৬৩টি টিকাকেন্দ্রে সরবরাহ করা মডার্নার ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডোজের প্রয়োগ স্থগিত করা হয়। মডার্নার স্থানীয় পরিবেশক তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যাল কিছু শিশিতে দূষণের খবর পাওয়ার এক সপ্তাহের বেশি সময় পর এসব টিকার প্রয়োগ স্থগিতের ঘোষণা আসে।
ইউরোপে মডার্নার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের উৎপদিত টিকার শিশিতে পাওয়া ওই কণার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি। মডার্না এবং তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যাল বলেছে, শিশিগুলো বিশ্লেষণের জন্য একটি মানসম্মত পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে প্রাথমিক ফলাফল পাওয়া যাবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার মডার্নার উৎপাদনকারী স্প্যানিশ ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান রোভি জানায়, টিকার নির্দিষ্ট ওই ব্যাচে দূষণের কারণ জানতে তদন্ত চলছে। টিকার এই ব্যাচ শুধুমাত্র জাপানেই বিতরণ করা হয়েছিল বলে বিবৃতিতে জানিয়েছিল তারা।
গুনমার ওই কর্মকর্তা বলছেন, গুনমাতে এতদিন মডার্নার টিকা প্রয়োগ করা হলেও দূষিত পদার্থ খুঁজে পাওয়া টিকা এবং এতদিন ধরে প্রয়োগ করা টিকার লট আলাদা। ওই এলাকায় চার হাজার ৫৭৫ জনকে মডার্নার টিকা দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত অসুস্থতার কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিএসডি/এমএম