নিজস্ব প্রতিনিধি
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী নূর হোসাইনকে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের অংশের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন মহাসড়কের পাশে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা গতকাল সোমবার বিকেলে স্মৃতিসৌধে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের হাতে মারধরের শিকার প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ওই শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ব্যয় বহন করাসহ চারদফা দাবি জানান। তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- মারধরের ঘটনায় জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কার করা ও গ্রেফতার করা এবং স্মৃতিসৌধে অনৈতিক উপায়ে প্রবেশ বন্ধ করা।
এদিকে মহসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান এবং আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান। তারা শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। এরপর শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক থেকে সড়ে যান।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামান বলেন, অবরোধের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। শিক্ষার্থীদের চারদফা দাবি শুনেছি। দোষী আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। আহত শিক্ষার্থীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
ঢাকা জেলা আনসার কমাড্যান্ট আফজাল হোসেন বলেন, গতকালের অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য মর্মাহত হয়েছি। মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের আনসার থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে এবং কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আমরা আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সকল ব্যয় বহন করবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, আমরা আহত শিক্ষার্থীর খোঁজ-খবর রাখছি। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ণ আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে।
এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগী নূর হোসেন দুজন ভাগিনা জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঘুরতে যায়। সেখানে অনেককে টাকা দিয়ে প্রবেশ করাচ্ছিলেন দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। নুর এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে আনসার সদস্যরা তাকে একটি রুমে নিয়ে আবদ্ধ করে রাখে। পরে সাত-আট জন আনসার সদস্য নুরের ঠোঁট, গলা, তলপেটে মারাত্মকভাবে আঘাত করে। এমনকি মাথাতেও আঘাত করে। এছাড়া লাঠি দিয়ে আমার পা থেতলিয়ে দিয়েছে। এতে গুরুতর আহত হয় নুর। পরে তাকে পুলিশ এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নুর।
বিএসডি/এমএম