জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
৫০ বছর আগে শূন্য থেকে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। যা এরই মধ্যে বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের বিস্ময় নামে পরিচিতি লাভ করেছে। বন্যা দুর্যোগসহ নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে বাংলাদেশ এখন অর্থনীতি ও আর্থসামাজিক বেশির ভাগ সূচকে উদিয়মান একটি রাষ্ট্র।
কঠোর লড়াইয়ে স্বাধীনতা অর্জন করা দেশটি শূন্য থেকে বৈশ্বিক উৎপাদনের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। জার্মানির সাংবাদিক ড্যানিয়েল সিডল যা তুলে ধরেছেন ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর’ নামে বইয়ে।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে বইটির বিষয়ে জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বইয়ের লেখক ড্যানিয়েল সিডল, ফটোগ্রাফার আবির আবদুল্লাহ, বার্তা সংস্থা এএফপির ব্যুরো চিফ এম শফিকুল আলম ও ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে এ বইটি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে লেখক ড্যানিয়েল সিডল এমন একটি দেশের বর্ণনা দিয়েছেন, যাকে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য কঠোর লড়াই করতে হয়েছিল। সময়ের পরিক্রমায় ব্যতিক্রমী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে দেশটি।
লেখক বইটিতে শুধুমাত্র জানার মতাে তথ্যের সাধারণ ধারণা দেননি, অস্বস্তিকর এবং ভবিষ্যৎ-প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলোকেও উপস্থাপন করেছেন।
২৫ বছর ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ড্যানিয়েল সিডল। তাই ইউরােপের যেকোনাে বাংলাদেশির চেয়ে দেশটি সম্পর্কে ভালাে জানেন।
ড্যানিয়েল সিডল বাংলাদেশ জার্মান চেম্বার অব কমার্সের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং সিএনএন জার্মানির বিজনেস নিউজের একজন সাবেক সঞ্চালক। তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের প্রচার ও ব্র্যান্ডিং করছেন।
ড্যানিয়েল সিডল বলেন, বইটিতে আমরা বাংলাদেশের সাফল্যের গল্প উপস্থাপনের জন্য ৫০টি তথ্য এবং ৫০টি ব্যক্তিগত গল্পের একটি তালিকা সংগ্রহ করেছি। একটি ছবি ১ হাজারেরও বেশি শব্দের হয়ে কথা বলে। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রখ্যাত ফটোগ্রাফার আবির আবদুল্লাহ বইটির অধ্যায়গুলােকে সমৃদ্ধ করেছেন।
বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক অগ্রগতি, মানুষের সততা ও সরলতায় মুগ্ধ উল্লেখ করে ড্যানিয়েল বলেন, বন্যা খরাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে জড়িত বাংলাদেশকে আমি দেখেছি উন্নয়ন সমৃদ্ধি আগামীর সম্ভাবনায় একটি দেশ হিসেবে। বিশ্ব মন্দার এ সময়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যা খুবই বিস্ময়। তাই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ৫০ বছরের আবেগ ভালোবাসা নিয়ে বইটি লিখেছি।