নিজস্ব প্রতিবেদক
বেসরকারি এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) নির্বাচনে ভোট জালিয়াতিসহ ভয়াবহ ফল কারসাজির অভিযোগ তুলেছে নির্বাচনে অংশ নেওয়া একটি অংশ। হাব ঐক্য ফোরাম নামে তারা নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে।
রোববার (২ মার্চ) ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ ও দাবি জানান সংগঠনটির সদস্যসচিব মেসবাহ উদ্দিন সাঈদ। এ সময় ফোরামের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হাব ঐক্য ফোরাম নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে আপিল বোর্ডের কাছে ন্যায়বিচার, ভোট পুনর্গণনা ও ‘অনিয়মের নির্বাচন’ বাতিল করে নতুন নির্বাচন দাবি করে। কিন্তু তা উপেক্ষা করে সৈয়দ গোলাম সরওয়ারের নেতৃত্বাধীন প্যানেলকে বিজয়ী ঘোষণা করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যা বেআইনি। আপিল নিষ্পত্তি না করে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করতে পারে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্বাচন কমিশন। তাই এ ধরনের জাল-জালিয়াতির বিচার, ফের নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানায় হাব ঐক্য ফোরাম।
লিখিত বক্তব্যে মেসবাহ উদ্দিন সাঈদ বলেন, বিশেষ কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে হাবের ক্ষমতা দিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নির্বাচিত হাবের কমিটিকে ভেঙে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হাবের প্রশাসক দাউদুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার ফিরোজ আল মামুন (উপসচিব) ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুর্শেদা জামানের (যুগ্ম সচিব) পরস্পরের যোগসাজশে নির্বাচন নামের প্রহসনের আয়োজন করা হয়েছে।
ভোট জালিয়াতির নমুনা তুলে ধরে বলা হয়, ‘নির্বাচনী তফসিলে বাণিজ্য সংগঠন আইন, ১৯৯৪-এর ধারা ১৮, উপধারা (৪), (৫), (৬) অনুসরণ করা হয়নি। আমরা ভোট পুনর্গণনার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপিল করেছি। কিন্তু ভোট পুনর্গণনা করা হয়নি।
কতটি ব্যালট পেপার ছাপিয়েছে, নির্বাচন শুরুর আগে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার কতটি আনা হয়েছে তা চেক করা বা হিসাব করার কোনো সুযোগ প্রার্থী বা পোলিং এজেন্টকে দেওয়া হয়নি। ভোটগ্রহণ শেষে সব প্রার্থী বা তাদের প্রতিনিধির সামনে ভোট গণনা করার বিধান থাকলেও তা না করে ব্যালট গণনার নামে পূর্বপরিকল্পিত ফল দ্রুত ঘোষণা করা হয়। ভোটগ্রহণ শুরুর সময় ব্যালট পেপার দেখতে বা কোন ব্যালট বৈধ/অবৈধ তা চেক করতে দেওয়া হয়নি। হাবের সংঘবিধির ৪০ ধারায় ভোট গণনার পর ফল শিট তৈরি করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাদের প্রতিনিধির স্বাক্ষর নেওয়ার বিধান থাকলেও ফল শিট আমাদের দেখানোই হয়নি। কতটি ব্যালট অবৈধ বা বাতিল হয়েছে তা আজও অবহিত করা হয়নি।
হাবের সংঘবিধির কোথাও কাউন্টিং মেশিনে ভোট গণনার কথা না থাকলেও কাউন্টিং মেশিনে ভোট গণনা করা হয় বলেও অভিযোগ তুলেন তিনি।
ঐক্য ফোরাম নেতা আরও বলেন, শিগগিরই এই জালিয়াতির নির্বাচন বাতিল করে একজন সৎ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে আবার নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব বেআইনি কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।